এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ৬ জুলাই, ২০১৩

নারীর সমান অধিকার প্রসঙ্গে কিছু কথা ...

অনেকেই বলেন ইসলামে নাকি সকল ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমান অধিকার প্রদান করেছে বা সমান অধিকার দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে... আসলেই কি তাই ? আসলেই কি সম্ভব নারী পুরুষ সমান অধিকার দেয়া?
আমি বলব না সম্ভব নয়... কেন সম্ভব নয় জানতে চান? আসুন কিছু বিষয় লক্ষ করি?

ইসলামের কথা পরে আসবে আগে আসুন দেখি আমাদের সমাজ কি নারীদের সমঅধিকার দিচ্ছে কিনা...

প্রথমতঃ ছেলেদের কথা চিন্তা করুন। ছেলে রা ইচ্ছা করলেই খালি গা হতে পারে। খালি গায়ে যেখানে খুশি যেতে পারে। অন্যদিকে মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে খালি গায়ে হওয়ার কথা চিন্তাই করতে পাড়া যায় না... কারণ নারীর শরীর অন্য কে দেখানো আমাদের সমাজের নারীদের জন্যই অপমান জনক। এখন বলুন এই ক্ষেত্রে বৈষম্য আপনি কিভাবে দূর করবেন। আপনি তো চান নারীদের সমান অধিকার দিতে... তবে প্রথমে আপনার বাড়ি থেকে শুরু করুন... আপনার মা, বোন কে অনুমতি দিন খালি গায়ে প্রকাশ্যে চলাফেরা করুক... আপনি শুধু নারীর সমান অধিকার চাইবেন আর এ ক্ষেত্রে তাদের বঞ্চিত করবেন তা তো হয় না...

দ্বিতীয়তঃ কোন ছেলের গায়ে কোন ছেলে অথবা মেয়ে যদি হাত দেয় সেটা আমাদের সমাজ খারাপ চোখে না দেখলেও অনুমতি ছাড়া কোন মেয়ের শরীরে হাত দেয়া নারী নির্যাতনের শামিল। যদি সমান অধিকার দিতে চান তবে গায়ে হাত দেয়ার এই অধিকার এও সমতা আনতে হবে। আপনি কি মেনে নিতে পারবেন, আপনার মা অথবা বোন কে রাস্তায় কেউ বুকে হাত দিলে। রাস্তায় তাদের সাথে প্রকাশ্যে কোলাকুলি করলে কি মেনে নিতে পারবেন... জানি পারবেন না, কারণ আপনি নিজেই সুবিধাবাদী কারণ আপনি চান নারী স্বাধীনতা শুধু ঘরের বাইরে, পরিবারের বাইরে সকল নারীর থাকুক... আপনার উদার মনা নিচু মানসিকতা কে আমি ধিক্কার জানাই...

তৃতীয়তঃ একজন ছেলে রাতের বেলা বাইরে থাকতে পারে... কারণ তাকে জোর করে কেউ ধর্ষণ করবে না... তার দামি সতীত্ব নেই যেটা তার হারানোর ভয় আছে... এখন আপনি যদি নারীদের সমান অধিকার দিতে চান তবে তাদের রাতে যেখানে সেখানে অবাধ চলাচলে বাঁধা দিতে পারবেন না... কিন্তু আপনি যদি এটা করতে চান তবে পতিতাদের কেন খারাপ বলছেন। তারা তো মুক্ত সমঅধিকার ভোগ করছে... তারা রাতের বেলা যা ইচ্ছা তাই করছে... তাদের যদি খারাপ বলেন তবে সম অধিকার প্রাপ্ত হয়ে রাতের আঁধারে একা ঘুরতে চাওয়া মেয়েটী কে আমরা কেন পতিতা বলব না...

চতুর্থঃ একটা ছেলে যদি চার টা বিয়েও করে তাকে সমাজ খারাপ চোখে দেখে না... দেখলেও খুব একটা খারাপ ভাবে না... অন্য দিকে একটা মেয়ে যদি চারটা স্বামী নিয়ে সংসার করে তবে আমাদের সমাজ কি মেনে নিবে... আমাদের সমাজ না শুধু বিশ্বের কোন সমাজের মানুষই তা মেনে নিবে না... যদি নারীদের সমান অধিকার দিতে চান তবে নারীদের একাধিক পুরুষ কে বিয়ে করার অধিকার কেন দিবেন না এটা তো সমান অধিকার... কি আপনি মানতে পারবেন আপনি আপনার স্ত্রীর চতুথ স্বামী... আর আপনার জৈবিক চাহিদা পূরণের সুযোগ আসবে রাত ৪ টায়... সিরিয়াল বলে কথা... :P
মানতে পারবেন আপনার মায়ের ৪ টা স্বামী... চোখ বন্ধ করে একবার চিন্তা করুন...

এবার আসল কথায় আসুন... এমন শত শত কাজ আছে যেগুলাতে নারীদের মানায় না... যেসব কাজ নারীদের মানহানীকর... সেসব ক্ষেত্রে নারীদের সমান অধিকার দেয়া ভুল কি সঠিক তা সিধান্ত নেয়ার দায়িত্ব আপনার... আমি শুধু কিছু কথা জানিয়ে দিলাম...।

নারীরা ভেবে নিয়েন না আমি আপনাদের বিরোধী... আল্লামা সফি সাহেব তার ভিডিও তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন... যারা কথা গুলো মানবে তাদের জীবন সুন্দর হবে যারা মানবে না তাদের জীবন কত টা খারাপ ভাবে যায় তা শুধু অপেক্ষা করুন এবং দেখুন...

নারীদের যেসব ক্ষেত্রে বেশি অধিকার দরকার সে ক্ষেত্রে ইসলাম নারীদের বেশি অধিকার দিয়েছে... আর যেক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই সেক্ষেতে কমিয়ে দিয়েছে... এবং তা নারীর মর্যাদা এবং স্মমান রক্ষা করার জন্যই... সমান অধিকার নয় ইসলাম যতটুকু অধিকার দিয়েছে ততটুকু বাস্তবায়ন হলেই মুসলিম নারীরা পৃথিবীর অন্য দেশের অন্য ধর্মের নারীদের থেকে অধিক মরাযাদা সম্মান এবং অধিকার পাবে... অধিক সুখে থাকবে... তাই প্রয়োজন ইসলামের সঠিক শিক্ষা... ইসলামী শাসন ব্যবস্থা... আল্লাহ আমাদের সবাই কে হেদায়েত দান করুন... আমিন।

মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০১৩

কোরআন পাঠ করার পুরষ্কার হাতেনাতে পেলাম...

কোরআন তেলাওয়াতের ফলাফল হাতে নাতে পেলাম আজ। আজ দুপুরে ইউনিভার্সিটিতে যাবার আগে মঞ্জিল এর আমাল করেছিলাম। মঞ্জিল হচ্ছে কিছু বিশেষ সুরার বাছাইকৃত কিছু আয়াত। বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাবার জন্য এই আমাল খুবই কার্যকরী। মূলত যারা তাবলীগে সময় লাগান তারা এই আমলের এহতেমাম করে থাকেন। আমিও টুকটাক তাবলীগে সময় দেই। সেই সুবাদে এই আমাল টা আমি জানি। তবে আমি একটু ফাকিবাজ টাইপের টাই নিয়মিত আমল করা হয় না।
আজ দুপুরে ভাবলাম আগামীকাল যেহেতু হরতাল সুতরাং মঞ্জিলের আমল করে যাই দেশের অবস্থা ভালো না কখন কোন বিপদ হয় বলা যায় না। মঞ্জিলের আমল করে বাসা থেকে বের হলাম। যথারীতি ক্লাসে গেলাম। বলে রাখা ভালো আমার বাসা থেকে আমার ইউনিভার্সিটি অনেক দূরে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে সেখানে যেতে।
আমার ক্লাস শেষ হলো ঠিক রাত ৯টায়। ক্লাস থেকে বের হয়ে বনানী আসলাম রাস্তা পার হয়ে বাস স্টপে গিয়ে দেখি লোকে লোকারণ্য... কণক, দেশ বাংলা, বেঙ্গলে উঠার জন্য বিশাল লাইন... মিনিমাম হাজার খানেক লোক তো হবেই... এত বড় লাইনের পিছনে দারালে বাসে উঠতে মিনিমাম ২ ঘন্টা লাগবে। তো দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভাবছিলাম আল্লাহই জানে কখন বাসায় পৌছাতে পারব। এদিকে পকেটে আছে মাত্র ৪৭ টাকা যদিও স্বাভাবিক ভাড়া ৪৫ টাকা আর ছাত্র ভাড়া হলে ২০ টাকা... কিন্তু হরতালের রাতে বাস ওয়ালাদের দাম বেড়ে যায় তখন  ৫০-৬০ টাকাও ভাড়া দাবি করে... কি করব ভাবছিলাম একবার যাত্রী ছাউনি তে বসছিলাম আবার উঠে গিয়ে রাস্তায় দাঁড়াচ্ছিলাম... এদিকে বাঁশ আসতেও অনেক দেরি করছে...

তখন হটাত দেখি খুব সুন্দর ভাষায় আমাকে কে যেন ডাকছে ভাইয়া শুনুন... পিছনে তাকিয়ে দেখি একটা ছেলে বাইকে বসা আমাকে ডাকছেন... ভাবলাম কোন অ্যাড্রেস হয়তো জিজ্ঞেস করবেন... কাছে যেতেই বললেন আপনি কোথায় যাবেন... আমি বললাম উত্তরা যাব... উনি বললেন আমিও উত্তরা যাব আপনি ইচ্ছা করলে যেতে পারেন আমার সাথে... লোকটার দাড়ি ছিল অনেক বড় বড়... তার চেহারা কালো হলেও নুরানী চেহারা... যাহোক এমনি তে হয়তো অপরিচিত কারও বাইকে উঠতাম না কিন্তু লোকটা এত সুন্দর করে বলল আর তার চেহারায় এমন সুন্দর একটা নূর ছিল যে আমি না করতে পারলাম না... ভহদ্রতা করে বললাম আপনার কষ্ট হবে না তো... তিনি বললেন না কষ্ট হবে না... আমি উনার বাইকে উঠলাম... উনি চালানো শুরু করলেন... আমি বাইকে বসে তখন আমলের কথা ভাবছি... যে আমলের কারণে আল্লাহ কত সহজে আজ বাসায় যাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে গেল... আসার সময় দেখেছি আমার কয়েকটা বন্ধু বাসের জন্য অপেক্ষা করছে... বাইকে বসেই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলাম... উনি আমাকে আযমপুর নামায় দিলেন... নাম জিজ্ঞেস করলে জানালেন আক্তার নাম... প্রসংক্রমে জানতে পারলাম উনি আমার ভার্সিটির ই অন্য ডিপার্টমেন্টের অনেক সিনিয়র বড় ভাই... যাহোক উনাকে ধন্যবাদ দিলাম এবং উনি সালাম দিয়ে বিদায় নিলেন... আল্লাহ উনার মঙ্গল করুন... তারপর আবার বাসে ঊঠার জন্য অপেক্ষা এখনও আমাকে অনেকদুর যেতে হবে... ২ মিনিটের মধ্যেই একটা সালসাবিল বাস এসে হাজির আমি ভিড় থেকে একটু সামনে দাঁড়িয়েছিলাম... বাস টা একেবারে আমার সামনে এসে দাঁড়াল... বাসের কিছু যাত্রী নামলেও বাসে অনেক ভিড়... ভিড় ঠেলে ভিতরে ঢুকলাম... এখানেও দেখি আমালের পুরষ্কার... বাসে এত এত যাত্রী দারানো কিন্তু একটা সিট খালি কারও চোখেই পরেনি মনে হোলো... আমি গিয়ে সেই সিটে বসলাম... অল্প সময়ের মধ্যেই আমার গন্তব্যে পৌছলাম কারণ হরতালের আগের রাত হলেও কোন জ্যাম ছিল না... আমি বাস থেকে নেমে হিসাব করলাম আমার খরচ হবার কথা ছিল ৫০-৬০ টাকা কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমার খরচ হলো মাত্র ১০ টাকা... সময় লাগার কথা ছিল ৩-৪ ঘন্টা সময় লাগল মাত্র ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট... আল্লাহ কি না করতে পারেন... আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া আদায় করলাম... পকেটে তখনো ছিল ৩৭ টাকা ... ১৫ টাকা দিয়ে ৫ টা কলা কিনলাম আম্মার জন্য ...১০ টাকা দিয়ে বেলের সরবত খেলাম... তারপর আস্তে ধিরে হেঁটে বাসায় আসলাম... এখনও মানিব্যাগে আছে ১২ টাকা...

আল্লাহ তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ... আর ইনশাল্লাহ কোন দিন মঞ্জিল এর আমাল বাদ যাবে না... আল্লাহ আমাকে নেক হায়াত এবং সহি বুজ দান কর...  আমিন...

সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৩

আমাদের সমাজ , আমাদের ছেলে মেয়ে রা কোথায় দাড়িয়ে…

আজ বিকেল বেলা IELTS এর ক্লাস করব বলে বাসা থেকে বের হইলাম। যথারীতি বাঁশ স্টপে গিয়ে ছালছাবিল পরিবহনে উঠলাম। পিছিনের দিকে বামপাশে জানালার পাশে সিট নিয়ে বসলাম। বাস ছাড়তে দেরি হচ্ছিল টাই বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে গরম মুক্ত হতে চাচ্ছিলাম...

আস্তে আস্তে বাসের সীট গুলো ভরে উঠতে লাগল। বাস ছারবে এমন সময় একটা মেয়ে আসল তাড়াহুড়ো করে সাথে খুব সম্ভবত তার ভাই। ভাই এসে বাসের হেল্পার কে ৪০ টাকা ভাড়া পরিশোধ করল এবং বলল কোন একটা স্থানে নামায় দেয়ার জন্য... আমি মনে মনে চিন্তা করতেছি কত দায়িত্ববান ভাই... মেয়েটাও খুব শান্ত ভাবে বাসে উঠে সামনের সিটে বসল... ভাবলাম আহা যেমন ভাই তেমন বোন... খালি পোশাকটাই একটু... সমস্যা...

যাহোক মেয়েটার একটু বর্ণনা দেই... বয়স ১৭-১৮ হবে... লম্বায় ৫ ফুটের মত হবে... শ্যামলা গায়ের রং... দুর্দান্ত ফিগার ... জিন্সের টাইট একটা প্যান্ট পরা... কামিজ টাও অনেক টাইট... কোন প্রকার কষ্ট ছারাই বাসের সকল পুরুষ চোখ গুলো তাকে অনবরত ধর্ষণ করছিল... পাতলা একটা উরনা কোন মতে গলায় প্যাঁচানো (মনে হচ্ছে পড়ার ইচ্ছা নাই)... মাথায় মাঝারী আকারে স্রেইট করা চুল... সোজা কথা খুব আকর্ষণীয় মেয়ে...

যাহোক বাস ছারল... খুব বেশি হলে ৫ মিনিট হয়েছে । হটাত দেখলাম মেয়ে টা সামনের সিট উঠে পিছনে আসতেছে... আমি একটু বিচলিত হলাম কারণ আমার পাশের সিট ছাড়া অন্য কোন সিট নাই... মনে মনে ভাবতেছই এই মেয়ে আমার পাশে বসলে আমার অতি আরামের আজকের বাসের ঘুম ও শেষ রাতের ঘুম ও শেষ

খোদা এই যাত্রা রক্ষা করলেন... আমার পাশের সিটে এসেই ঝাড়ি এই সর বসতে দে... অতপর আমি তাহার এতক্ষন শান্ত থাকার কারণ বুজিতে পারলাম... এবং কিছু টা অবাক হলাম বৈকি... কি ধারণা করলাম কি হইল... আমার অবাক হওয়ার রেশ না কাটতেই মেয়ে টা আবার উঠে দাঁড়াল... ততক্ষনে সামনের স্টপেজ থেকে আসল হিরো বাসে উঠেছে... মেয়ে টা সামনে এগিয়ে গেল নেক্সট স্টপেজে তার বন্ধুদের বাই টাই দিয়ে হিরোর সাথে নেমে গেল... আমার কাছে কাহিনী ততক্ষনে পরিষ্কার... ভাবলাম প্রেমিক প্রেমিকা দেখা করবে টাই এত নাটক...

কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সেই জুটি একটা CNG স্কুটার ভাড়া করে টাতে উঠে পড়ল... এবং ঢাকার দিকে যাত্রা করল... তারপর ...... কি হলো যাদের বুদ্ধি আছে বুজে নেয়া উচিৎ...

যারা বুজেন নাই তাদের বলছি সেই পুরোনো গল্প... CNG র নেটে ঘেরা খাঁচায় উদ্দাম যৌবনের চাহিদা মেটাতে তারা হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই জড়াজড়ি, চাপাচাপি, টিপাটিপি, চুমাচুমি সহ অনেক আধুনিক বেহায়া করবে... যা আমরা ঢাকার রাস্তায় ন্যমিত দেখে থাকি...

হয়তো তার দায়িত্ববান ভাইটি ভাবছে তার বোন নিরাপদে পৌছাতে পারবে তো... কোন সমস্যা হচ্ছে না তো... সে চিন্তায় অস্থির থাকবে ... আর তার আদরের বোন টি হয়তো নেটে ঘেরা টেক্সিতে স্বেচ্ছা ধর্ষণ হচ্ছে তাও আবার আনন্দ চিত্তে... এই ণোংরামী বেহায়াপনার শেষ কোথায়...

বিঃদ্রঃ কিছু অশ্লিল শব্দ অনিচ্ছাকৃত ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে সত্য ঘটনা টি তুলে ধরার জন্য... আমি সকলের কাছে ক্ষমা প্রাথী...

শনিবার, ৪ মে, ২০১৩

   " সাভারী শিশু "
                                           ---- স্বপ্ন পথিক

আমি এক সাভারী শিশু, স্বপ্ন আমার নাম
আমি চাই না, রঙ বেরঙ্গের জামা
আমি চাই না, নানান ঢঙয়ের খেলনা
 আমি চাই শুধু লজ্জা নিবারণের নিশ্চয়তা
আমি চাই শুধু মাটির বুকে খেলার অধিকার

আমি এক সাভারী শিশু, স্বপ্ন আমার নাম
আমি চাই না বারিধারা গুলশানে বাড়ি
আমি চাই না রাজপথ দাপিয়ে চলা দামি গাড়ি
আমি চাই শুধু ছোট্ট ঘরে একটুখানি আশ্রয়
আমি চাই শুধু রাজপথে পায়ে হাঁটার অধিকার 

 আমি এক সাভারী শিশু, স্বপ্ন আমার নাম
আমি চাই না খেতে চাইনিজ কিংবা থাই
আমি চাই না এসির শরীর জুড়ানো বাতাস
আমি চাই খেতে শুধুই দুমুঠো ভাত
আমি চাই নিতে মুক্ত বাতাসে মুক্ত নিঃশ্বাস

আমি এক সাভারী শিশু, স্বপ্ন আমার নাম
আমি চাই না মালালার ন্যায় পরিচিতি
আমি চাই না জাতিসংঘের বিশ্বজোড়া স্বীকৃতি
আমি চাই শুধুই মায়ের বুকে আশ্রয়
আমি চাই শুধুই পিতার পরিচয়

আমি এক সাভারী শিশু, স্বপ্ন আমার নাম
আমি চাই না হতে বিরাট কোটিপতি
আমি চাই হতে দেশের প্রেসিডেন্ট
আমি শুধুই চাইন মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি
চাই শুধুই আমার স্বপ্ন নামের সার্থকতা।

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৩

অন্তত উভয় দল যেন কোন রাজনৈতিক দলের """" আইটেম সং """" না হয়........

অন্তত উভয় দল যেন কোন রাজনৈতিক দলের """" আইটেম সং """" না হয়........


বাংলাদেশের মানুষ সারা জীবন ই দুইভাগ অথবা চার ভাগে বিভক্ত হওয়া পছন্দ করে... আমি ভালোর পক্ষে খারাপ এর বিপক্ষে কথা বলি তাই আমি উভয়দলের লোকদের কাছেই খারাপ... আর এই খারাপ হওয়াটাই আমার লেখার সার্থকতা...

আজকে কিছু কথা লেখব বর্তমান দেশের পরিস্তিতি নিয়ে... আমি রাজনীতিক না তবে রাজনীতি কিছু হলেও বুঝি। অপরাজনৈতিক চাল গুলাও বুঝি...

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের দুইটা বিপ্লবী সমাবেশ এর উদ্দেশ্য কে আমি ব্যাপক সমর্থন করি।
শাহাবাগের মূল দাবি অর্থাৎ রাজাকারদের ফাঁসির দাবির সাথে আমি প্রথম থেকেই সহমত পোষন করেছি... শাহাবাগের পক্ষে অনলাইনে প্রচারনা করেছি... মানুষের সাথে বিতর্ক করেছি... ফলশ্রুতি তে ব্যাপক গালি এবং ব্লক ও খেয়েছি... প্রথম দিকে শাহাবাগ ছিল জনগণের দাবি অরাজনৈতিক সমাবেশ মানুষের প্রানের সমাবেশ... মনের টানেই মানুষ সেখানে গেছে... দাবির সাথে একাত্ম হয়ে দাবি জানিয়েছে ফাঁসির... তারপর আসল নাস্তিক ইস্যু... শাহাবাগ চত্বর হয়ে গেল নাস্তিক চত্বর... অনেকেই ভাবল তারা ভুল করেছে...তারা সরে দাড়াল... আমিও তখনো সরে না দাঁড়ালেও চুপ হয়ে গেলাম... কারণ একটাই আমি রাজাকারের যেমন ফাঁসি চাই তেমনি নাস্তিকদেরও শাস্তি চাই...
কালান্তরে শাহাবাগ চত্বর হয়ে গেল নাস্তিক চত্বর তারপর সেটা এখন আওয়ামী চত্বর এ পরিনত হল... বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এখানে চান্স নিতে চাইল কিন্তু পারল না তারা এর চরম বিরোধিতা শুরু করল... প্রথমে সমর্থন দিয়ে পড়ে বিরোধিতা করা ভণ্ডামির নামান্তর... যা একমাত্র রাজনিতিকদের পক্ষেই সম্ভব...
আমিও শাহাবাগের কার্যক্রমের বিরোধী সব সময়ই ছিলাম কিন্তু তাদের মূল দাবির সাথে আমি আজও একমত...

অন্যদিকে নুতুন আয়োজন নিয়ে আসল "হেফাজতে ইসলাম" । অনেকেই তাদের হেফাজতে জামায়াত বলে থাকেন... আমি তাদের মনের ভিতর ঘুরে আসিনি তাই তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য বলতে পারব না... তাদের আয়োজনের শুরু থেকেই বলা হচ্ছে তারা জামায়েত নয়... যাই হোক এমন কথা শাহাবাগ থেকেও একসময় বলা হোত। কথা সেটা না আসল কথায় আসি।

আমার দৃষ্টিতে হেফাজতে ইসলাম চমৎকার আইডিয়া এবং প্লান নিয়ে মাঠে নেমেছে... তাদের উদ্দেশ্য ও অত্যান্ত মহৎ। আমি তাদের ১৩ দফার সাথে একমত... যা সত্যিকার অর্থেই আমাদের জন্য জরুরী... তারা যদি এগুলা বাস্তবায়ন করতে পারে টা অবশ্যই আমাদের দেশের জন্য মঙ্গলজনক...

কিন্তু এখানেও সেই পুরোনো সমস্যা... আওমিলীগ চেষ্টা করল হেফাজত কে হাতে নেয়ার... তারা ব্যর্থ হল... সেখানে বিএনপি মোটামুটি সফল... তারা হেফাজত কে হাত করতে না পারলেও তাদের সাথে কাজ করে বলা যায় তাদের চামচামি করে মন জয় করে নিয়েছে... যদিও ১৩ দফা বাস্তবায়িত হলে বিএনপি নামক দলটির মূল নেত্রীসহ অদিকাংশ নেতা কর্মীকে গৃহে চলে যেতে হবে... এসব জানার পরও যখন তারা হাফাজতের সাথে কাজ করছে তখন স্বাভাবিক ভাবেই আমার মনে প্রস্ন আসল " আচ্ছা হেফাজত কি তবে বিএনপির রাজনৈতিক চাল?"
আমার ধারণা এখনও সত্য হয়নি তবে হবে না এটাও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না... হেফাজতে ইসলামের পরিনতি কি শেষ পর্যন্ত সাহাবাগের মত হয় কিনা টা দেখার অপেক্ষায় আছি... যদিও মন থেকে চাই হেফাজত সফল হোক...

সবশেষে একটাই মন বাসনা... " শাহাবাগ যেন নাস্তিক মুক্ত হয় আর হেফাজত হোক ধর্ম ব্যবসায়ী মুক্ত"

অন্তত উভয় দল যেন কোন রাজনৈতিক দলের """" আইটেম সং """" না হয়.........

 

শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৩

Revolution নাকি Evolution কোনটা জরুরী বাংলাদেশের জন্য?

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে কিছু কথা বলি... আশা করি কথা গুলো আপনাদের কে উপকৃত করবে...

বর্তমানে অন্যতম ইসলামী নামধারী রাজনৈতিক দল হচ্ছে "শিবির"। যারা চাচ্ছে দেশে ইসলামী শাসন কায়েম করতে। নিঃসন্দেহে তাদের উদ্যোগ ভালো...কিন্তু প্রশংসা পাবার যোগ্য নয়।
তারা আসলে কি চায়... তারা চায় "Revolution" অর্থাৎ বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে ইসলামের আইন প্রতিষ্টা...  বিপ্লব মানেই হচ্ছে ধর-মার কাট... কিন্তু কথা হচ্ছে আমাদের দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ কি চায়... আমরা যদি ধরিমারিকাটি তবে কাকে ধরব, কাকে মারব কাকে কাটব সেটা আমাদের আগে ভাবতে হবে... আমি যদি বিপ্লব বেছে নেই সে বিপ্লব ৯০% মুসলিম এর দেশে কোন অমুসলিম এর বিরুদ্ধে হবে সেটা ভাবা নিতান্তই হাস্যকর...  তাহলে মুসলিম মুসলিম এর বিরুদ্ধে বিপ্লব করবে তাতে ফলাফল কি হবে শত শত লাশ পরবে এবং যারা মারা যাবে তাদের ৯৯% ই হবে মুসলিম... ক্ষতি কার হচ্ছে... আপনি শিবির হন আপনি লিগ হন বা আপনি দলেরই হন আপনার পরিচয় "আপনি মুসলিম"... একজন মুসলিম অপর মুসলিম কে হত্যা করবে এ কেমন কথা...

অন্যদিকে অন্যতম অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হচ্ছে "তাবলীগ"... প্রথমেই বলে রাখি তাবলীগ কে আওমীলিগের অঙ্গসগঠন ভেবে ভূল করবেন না... তাবলীগ কি চায় সেটা আপনাকে বুজতে হবে... তাবলীগ চায় "evolution"... অর্থাৎ মানুষকে বুজিয়ে শুনিয়ে দাওয়াতের মাধ্যমে ইসলাম কায়েম করা... সে অর্থে বলা যায় তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ যা কিনা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে প্রমানিত... তাবলীগের কোন এখন পর্যন্ত মানুষের জন্য ক্ষতিকর এমন কোন ঘটনা পাওয়া যায়নি... তবে তাবলীগ কাজ অনেক সময় সাপেক্ষ... এবং ভালো কাজের জন্য একটু বেশি সময় লাগেই... তাবলীগ মানুষের ইমান নিয়ে কাজ করে... এখানে সবাই নিজেদের ইমান সংশোধনে ব্যস্ত... আর এভাবে একজন একজন মানুষ করে যদি দেশের অদিকাংশ মানুষ ইমানদার হয়ে যায় সেটা কি খুন খারাবী থেকে উত্তম নয়... শান্তিপূর্ণ উপায়ে যদি ইসলাম আসে... মেয়েরা পরদাশীল হয়ে যায় সেটা কি উত্তম নয়...

একখন ফেসবুকীয় জাতির কাছে আমার প্রশ্ন আপনারা কোনটা  চান... Revolution নাকি evolution.... জাতির বিবেকের কাছে আমার প্রশ্নার......

এবার সিধান্ত আপনার...

শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৩

আমরা নামে মুসলিম কিন্তু আমরা আসলেই কি মুসলিম... চলুন এটা নিয়ে একটু আলোচনা করি...

আমরা নামে মুসলিম কিন্তু আমরা আসলেই কি মুসলিম... চলুন এটা নিয়ে একটু আলোচনা করি...
* আমরা মুসলিম কিন্তু শুধু শুক্রবারে জুম্মা নামাজ পরি... তবে কি আমাদের জন্য অন্য নামাজ ফরজ নয়...
* আমরা মুসলিম কিন্তু হরতালে আমরা গাড়ি ভাঙ্গি আগুনে পুরিয়ে মানুষ মারি... ইসলাম শান্তির ধর্ম... আমরা যদি মুসলিম হই তবে এসব কি আমাদের জন্য হারাম ণয়...
* আমরা মুসলিম কিন্তু সকাল বেলা ক্লিন শেভ করি...আমরা কম বেশি সবাই জানি দাড়ি রাখা সুন্নত ... তবে কি দাড়ি না রাখলেও আমরা পূর্ণ মুসলিম...
* আমরা পুলিশদের মাথা থেঁতলে দেই কারণ তারা চাকরির বাঁচাতে দায়িত্ব পালনে রত কিন্তু সেও হয়তো একজন মুসলিম... একজন মুসলিম এর মাথা থেঁতলে দিয়েও কি আমি মুসলিম...
* আমরা শহীদ হতে সদা প্রস্তুত... কিন্তু ফজরের নামাজে যেতে আমাদের অনেক কষ্ট... ফজরের নামাজ পরতে এত কষ্ট হলে শহীদ হবার কস্ট সহ্য করতে পারব তো... নাকি জান বাঁচাতে পালাব...
* আমরা মুসলিম আমরা হিন্দি গান শুনতে বড় ভালোবাসি কিন্ত কোরআন তেলাওয়াত করার সময় পাই না...
* আমরা মুসলিম কিন্তু নিজেকে ভাবি জন আব্রাহাম, ক্যাটরিনা... কাঊ কে আজও পেলাম না যে নিজেকে উমর(রাঃ) কিংবা আলী (রাঃ)... তবে আমরা কিসের মুসলিম...
* আমরা তাবলীগে যেতে সময়ের অপচয় মনে করি... কিন্তু বন্ধুবান্ধুবী নিয়ে ৫ দিনের ট্যুরে চলে যাই তখন সময় নষ্ট হয় না...
*আমরা জানি নারী নেতৃত্ব হারাম জানি তাও দুই নারীর জন্য জীবন দিয়ে দেই তবে কি আমরা মুসলিম...
* পর্দার কথা আর নাই বললাম...

এমনো হাজার সমস্যা আমাদের আছে তারপর আমরা নিজেদের মুসলিম দাবি করি... ইসলামের নামে বড় বড় কথা বলি... আরে আগে নিজে ভালো হন পড়ে মানুষ রে বলেন... কাজে দিবে..... আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুন... আমিন...

শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৩

টর্নেডো বিধস্ত জনপদের কান্না .........

গাছ উপরে পড়ে আছে রাস্তায়... চার দিকে কোন গাছে কোন পাতা নেই... ঘরবাড়ি দুমড়ে মুচরে রয়েছে যেন স্তুপাকার নর্দমা... মানুষের গায়ে নেই কাপ্র...পেটে নেই ভাত...মুখে নেই হাসি... আছে শুধু কান্না...আছে শুধুই হাহাকার... আছে অপরিসীম অভাব আর অভাব...


আমি কোন যুদ্ধ বিধস্ত নগরীর কথা বলছি না... আমি বলছি গত ২২ মার্চ ঘটে যাওয়া টর্নেডো তোপে গুরিয়ে যাওয়া বিধস্ত এক জনপদের কথা... ধ্বংস হয়ে যাওয়া স্বপের ভাগার এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিনটি উপজেলা। আজ আপনাদের আমি বলব সেই ধ্বংস স্তূপে স্বপ্নের ধ্বংসাবশেষ খোজা মানুষের গল্প।
বলব মানুষের কষ্টের কথা... মানুষের হতাশার কথা...

গতকাল আমি গিয়েছিলাম সেই এলাকা তে আমার সামথ্য অনুযায়ী কিছু সাহায্য করতে। আমার ধারণা ছিল যার তার চেয়ে এত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ছিল সেই এলাকা যা ভাষায় প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি যে সাহায্য নিয়ে গিয়েছিলাম টা ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় কিছুই না। মানুষের কষ্ট দেখে আমার মত কঠিন হৃদয়ের মানুষেরও কাঁদতে একমুহূর্ত দেরি হয়নি...

বাসুদেব এলাকার একটি পরিবারে ৬ জন মারা যান সেই দিন জন আজও হাসপাতালে... ঘরে খাবার নেই... পানি নেই...থাকতে হচ্ছে তাবু তে... হচ্ছে বৃষ্টি বিজতে হচ্ছে তাতে... ঠাণ্ডা বাতাস থেকে বাঁচতে নেই কোন কাপড়... চার দিকে শুধু কষ্ট আর কষ্ট... কাঁদতে কাঁদতে মানুষের কান্নার জল সুকিয়ে গেছে... কান্না এখন শব্দ হয় না... থাকে শুধুই দীর্ঘশ্বাস... মানুসের কস্তে এলাকার পরিবেশ হয়ে গেছে ভারি...

এমন চিত্র এখন প্রতিটি বাড়িতে... এমন কষ্ট বোধয় আর কোথাও নেই...  সেই সাথে যোগ হয়েছে এলাকার চোরের উৎপাত... বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষজন...

সেখানে এখন পর্যন্ত যে পরিমান সাহায্য গিয়েছে টা অতি সামান্য... সরকারের লোকেরা সবাই কে তাবু দিয়েছে... সেই তাবুতেই সবাই থাকে। তাবিতে থাকা যে কি কষ্টের তা যারা থাকছেন তারাই জানেন... প্রতিনিয়ত রয়েছে সাপ বিচ্ছুর ভয়... নারীদের রয়েছে সম্ভ্রম হারানোর ভয়... সমগ্র এলাকার মানুষ এখন হতাশার চুরান্তে অবস্থান করছেন...

মিডিয়া গুল সবসময় মিথ্যার ভাণ্ডার... এলাকায় খুজ নিয়ে জানা গেছে এই টর্নেডোতে কমপক্ষে ৫০০ মানুষ মারা গেছেন... আর চিকিৎসা এবং খাদ্যের অভাবে হয়ত অনেকেই মারা যাবেন...

তাই আপানাদের সকলের প্রতি আমার আকুল আবেদন চলুন দুর্গত মানুষের পাশে দাড়াই... আমরা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ যদি ১ টাকা করে দেই ১৬ কোটি টাকা হয়... সেই টাকা দিয়ে এসব মানুষের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব। আসুন একটি বার চিন্তা করি আমআর ভাগ্যেও এমন হতে পারত। যাদের এমন হয়েছে তারা আমাদের ই ভাই আমাদের ই বোন... তারাও আমাদের মত মানুষ... তারাও বাঁচতে চায়...

তাই আপনাদের প্রতি আমার মানবিক আবেদন এই যে, আপানাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে আপনারা সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ সাহাযা করুন... অর্থ না থাকলে আপনার বাসার পুরাতন কাপড় দিতে পারেন... দিতে পারেন চাল-ডাল... এছাড়াও দিতে ঔষধ...

আমার আপনাদের দেয়া সাহায্য পৌঁছে দিব দুর্গত মানুষের কাছে। একন থেকে প্রতি বৃহস্পতি বার আমরা সাহায্য নিয়ে যাব সেই সব মানুষের কাছে...


প্লিজ ভাই একটু এগিয়ে আসুন একটু সাহায্য করুন।

সাহায্য পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করুনঃ ০১৭১৭৫৬৫৩৩৯ অথবা ০১৬৮০৩১২২৭০

অথবা বিকাশ করতে পারেন ০১৭১৬০০৪০০৭ এই নামারে এ ক্ষেত্রে আপনি যে নাম্বার থেকে বিকাশ করবেন টা ০১৭১৭৫৬৫৩৩৯ এই নাম্বারে মেসেজ অথবা ফোন করে জানাবেন।


 আমরা আপনার বাড়ানো হাতটির জন্যই অপেক্ষা করছি...  প্লিজ এগিয়ে আসুন প্লিজ
..............


মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০১৩

এই যদি হয় দেশপ্রেম এই যদি হয় ধর্মীয় কাজ তাহলে দেশদ্রোহিতা আর ধর্মবিরোধিতার প্রকৃত উদাহরন কোনটি?

আজকের সকাল সুন্দর একটি সকাল... সকালে উঠেই মনে মনে ভাবলাম দিন টা আজ ভালো যাবে... প্রতিদিনের অভ্যাস অনুযায়ী পেপার নিয়ে বসলাম... পেপার খুলেই মন টাও খারাপ হয়ে গেল দিন টাও খারাপ হয়ে গেল... শিরোনাম ছিল " হরতালের নামে নাশকতা"। নিচে একটি ছবি একটি ট্রেনের ২টি বগি উল্টে পড়ে আছে। পাথরের উপর রেল লাইনের কোন চিহ্ন নেই...ছড়ানো ছিটানো কিছু স্লিপার। আহত হয়েছে ৩০ এর অধিক লোক(সরকারী হিসাব)। বেসরকারী কোন হিসাব হয় না তাহলে হয়তো আরো বেশি হত।

গত কালকের ফেসবুক এ আপডেট দেখলাম। ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়া হয়েছে এক পুলিশের। তার এমন অবস্থা যে একবার এর বেশি ২ বার তার দিকে তাকানোর সাহস হল না। চোখ বন্ধ করার আগেই প্রবাদ হিসেবে শেয়ার করলাম সেই নিউজটা...

এরও কিছুদিন আগে হরতাল চলাকালে আহত হল আমাদের ছোট্ট একটি বোন। "অন্তু বড়ুয়া" নাম তার। সে হয়তো কোনদিন এক চোখ দিয়ে দেখতেই পারবে না। মেয়ে টা হিন্দু কথা টা একটু মাথায় রাখবেন...

আরও কিছুদিন আগে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির এক ভাই উত্তরাতে আগুনে পুরে মারা গেলেন। তিনি তার বাবার সাথে বাসে করে কোথাও যাচ্ছিলেন পথে বাসে আগুন দেয় হরতাল কারী রা পুড়ে মারা গেলে রাসেল মাহমুদ। রেখে গেলেন ১০ দিনের সন্তান। যে সন্তান কোনদিন কাউকে বাবা বলে ডাকতে পারবে নয়া...

কিছুদিন আগে আমার এলাকায় পকেটারদের ধাওয়া খেয়ে উল্টে যায় একটি সিএনজি অটোরিকশা। সেটাতে ছিলেন এক গর্ভধারিণী মা... যিনি অপেক্ষা করছিলেন অনাগত সন্তানের অপেক্ষায়... আর এখন তিনি অপেক্ষা করছে একটি মৃত সন্তানের জন্য... কারণ তিনি ব্যাপক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত... সাথে যারা ছিল কারও ভেঙ্গেছে হাত কারও ভেঙ্গেছে পা...

এইতো সেদিন হরতালে গাড়িতে আগুনে দগ্ধ হলে সাবেক ছাত্র নেতা এবং বর্তমানে কর্মরত ডাক্তার... যাদের অবস্থা আসঙ্কা জনক...

গত একমাসে সহসতায় মারা গেল শতাধিক মানুষ। অনেকেই হয়তো কোন রাজনেতিক দলের সঙ্গেই ছিল নয়া শুদুই জীবন বাঁচাতে গিয়ে মারা গেছেন...

এখন আসল কথায় আসি এই যে নিরিহ মানুষ গুলো আহত হল কিংবা জীবন থেকে ছুটি নিল। তাদের কি দোষ ছিল... তাদের দোষ একটাই তারা হরতালে পথে বেড়িয়েছিল... তাদের দোষ একটাই তারা দেশের প্রতি ভালোবাসা ছিল নয়া..... তারা দেশদ্রোহী ছিল তারা ধর্ম বিরোধী ছিল এটাই তাদের দোষ... এছাড়া আমি আর কোন কারণ খুজে পাচ্ছি না...

আমার ভাষা অনেক আগেই হারিয়ে গেছে। আমিও আজ রাস্তায় বের হব ট্রেনে উঠব বাসে উঠব... আমারও তো হতে পারে একি পরিনতি। তবে কি আমিও দেশদ্রোহী আমিও ধর্মদ্রোহী...

আমাদের এক নেত্রী বললেন দেশ রক্ষা করতে হবে... সে জন্যই হরতাল দেয়া হচ্ছে... কিছু মানুষ মারা যাবে ক্ষয় ক্ষতি হবে সেটা মেনে নিতে হবে... সেটা মেনে নিতে হবে দেশের জন্য... দেশের মানুষের জন্য...
সরি ম্যাডাম আমি এমন দেশপ্রেমিক হতে পারব না... যে দেশ প্রেমিক দেশের মানুষের ক্ষতি চায় সে দেশ প্রেমিক আমি হতে চাই না...

অন্যদিকে ইসলাম রক্ষার দোহাই দিয়ে মাঠে আছে আরেকটি দল... তারা তাদের নেতাদের বাচানোর জন্য মানুষ কে শহীদ হতে উতসাহিত করছে জালিয়ে দিচ্ছে যানবাহন নষ্ট করছে সম্পদ... ইসলামের কোথাও অন্যের সম্পদ ধ্বংসের অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি... সুতরাং তারা ইসলাম নয়... তারা ইসলামের শত্রু।

অনেকেই হয়তো আমার সাথে তর্ক করবেন এসব নিয়ে তাদের বলব। আমাকে একটা হাদিস দেখান যেখানে অন্যের সম্পদ ধ্বংসের অনুমতি দেয়া হইছে...  আমাকে দেখান কোথায় আছে যে মুসলিম রা শত্রু দের আগে হামলা করেছে... কোথায় আছে যে নিরিহ মানুসদের রাজনৈতিক বলি বানাতে হবে...

এই যদি হয় দেশ প্রেম আর ধর্ম পালন তবে আপনাদের এই দেশে দরকার নাই... ইসলাম শান্তির ধর্ম আমাদের সেই শান্তি নিয়ে বাঁচতে দেন... আমরা শান্তি চাই শান্তি






































শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৩

বিষয়ঃ মেয়েদের পোশাক নিয়ে কিছু খোলা মেলা কথা...

সেদিন বাসে করে কোথাও যাচ্ছিলাম। একজায়গায় বাস থামল আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিলাম। রাস্তার পাশে একটা মেয়ে দাড়িয়ে ছিল। মেয়েটির এমন একটা ড্রেস পরাছিল টা আমি কিভাবে ব্যাখা করব বুজতে পারছি না। দেখে যতটুকু মনে হল শুধু জামা পরছে নিচে কোন পাজামা পরেনি বা প্যান্ট ও না... আপনি হয়তো ভাবছেন আমি রাস্তার পাশের কোন পাগলিনীর কথা বলছি। আপনার ধারণা ভূল আমি রাস্তার ধারে এই সমাজের কোন একটি ভদ্র পরিবারের(অভদ্র ও হতে পারে) মেয়ের কথাই বলছি... আসে পাশে তাকিয়ে দেখলাম পাশে যে কয় জন পুরুষ আছে সবাই বেশ মনযোগ সহকারে মেয়েটিকে চোখ দিয়ে ধর্ষণে লিপ্ত... কেউ চোখ বড় করে... কেঊ আড়চোখে(পাশে বউ বা মেয়ে থাকায়)... কেউ অতি উৎসাহী হয়ে মোবাইল নামক বস্ত দ্বারা জুম করে ছবিও তুলছে... একটা ব্যাপার লক্ষনীয় যে আমরা যেসব মানুষদের থার্ড ক্লাস ভাবি যেমন রিকশাওয়ালা, ভিক্ষুক, ড্রাইভার, শ্রমিক, টোকাই তারাও যেমন চোখ দ্বারা ধর্ষণে লিপ্ত তেমনি তেমনি টাই পড়া ভদ্রলোক, দামি সানগ্লাস পড়া প্রাইভেট ভারসিটি পরুয়া তরুন কেউই এই ফ্রি সেক্স থেকে বাদ যাচ্ছে না...

আরেকটি কাহিনি বলি... এক মেয়ে আমার ভার্সিটিতেই পড়ে... আমাদের অনেক জুনিয়র... ক্যাপাসের পরিচিত শরীর... শরীর বলার কারণ ক্যাম্পাসের সবাই তাকে শরীর দিয়েই চিনে... কারণ সে শরীর প্রদর্শনে খুবই উদার... এমন একটা ভাব এমন শরীর দিয়েছে বিধাতা সেটা ছেলেদের না দেখালে কিভাবে চলবে... তো তার এই উগ্রতা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে টা বলার অপেক্ষা রাখে না... তার দেখাদেখি অন্য মেয়ে রাও প্রতিযোগিতায় নেমে পরেছে দেহ প্রদসনে... আমি এটাকে ফ্রি ল্যান্সার দেহপ্রদসনী বলে থাকি...

এবার আসল কথায় আসি অনেকেই হয়তো বলবেন আপনি দেখেন কেন না দেখলেই পারেন। তাহলে আমি আমার আক বন্ধুর বলা কথা টাই আপনাদের বলি... আমার প্রশ্নের জবাবে ও বলেছিলঃ
" ধর তুই খুব ক্ষুদা অস্থির... তখন একটা খুব মজার খাবার তোকে দিলে তুই কি করবি খুব স্বাভাবিক তুই খাবি... ধরলাম খাবার টা তোর জন্য খাওয়া হারাম তো তুই প্রথম বার না করলি ২য় বার না করলি ৩য় বার তোকে ব্যাপক ভাবে সাধা হল খাওয়ার জন্য যখন তুই খেতেই চাচ্ছিস না তখন তোর মুখে জোর করে যদি সেই খাবার ঢুকায় দেয় কতক্ষন পারবি সেই খাবার না খেয়ে... ধরলাম তাও তুই খেলি না...কিন্তু মুখ থেকে ফেলে দিলেও মুখে কিছু থেকেই যায়... বার বার এমন হতে থাকল এক সময় তুই সেই খাবার এ অভ্যস্ত হয়ে যাবি...
মেয়ে দের শরীর যে দেখি তার কারণও এটা... এক সময় মেয়ে দের দিকে তাকাকে লজ্জা এবং ভয় দুটাই কাজ করত... তারপর মেয়েদের সাথে ফ্রি হলাম ভয় চলে গেল... এদিকে মেয়েদের পোষাকেও ব্যাপক অবনতি ঘটল আর আমরাও সেই পোশাকে অভ্যস্ত হয়ে গেলাম... আড় দেখতে দেখতে এখন নেশা হয়ে গেছে... সোজা কথায় না দেখলে আমার চলেই না...

এবার ধরুন ইভতিজিং এর কথা ঢাকা শহরে ইভটিজিং না করলে তো স্মার্টই হওয়া যায় না... অনেক আগে আমি একটা জরিপ করেছিলাম ফেসবুক এ প্রশ্ন ছিল মেয়েদের উদ্দেশ্যে " আপনাকে সেক্সি বলা কি আপনি পছন্দ করেন। ৫০ টা মেয়ে উত্তর দিয়েছিল তার মধ্যে একজন বলেছিল সে অপছন্দ করে বাকি রা বুজতেই পারছেন... কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে বলেছিল " যে ছেলে মেয়েদের সেক্সি বলতে পারে না সে স্মার্ট ছেলেই না"
ধরাযাক এমন কন্ডিশনে গ্রাম থেকে শহরে একটা ছেলে বেড়াতে আসল... এসেই এসব দেখে সে অস্থির। সে ১ মাস থাকল তারপর গ্রামে ফিরে গেল সাথে করে নিয়ে গেল এই কু শিক্ষা। এখন তার নিয়মিত দায়িত্ব রাস্তার পাশে দাড়িয়ে মেয়েদের সেক্সি বলা... যেহেতু সেটা গ্রাম সুতরাং সে হয়ে গেল ইভটিজার... সেক্সি খুব নরমাল কথা আরো আনেক কথাই সে সিখেছে ঢাকা এসে... সব কথাই সে প্রয়োগ করল নিপুন ভাবে... তার থেকে শিখল অন্য ছেলেরা... এভাবে ছড়িয়ে গেল নানা জায়গায়... নষ্ট হল অনেক ছেলে... সাথে ইন্দিয়ান চ্যনেলের রসদ এবং আপডেট তো আছেই... জন্ম হচ্ছে নিত্য নুতুন টিজিং কৌশলের... কিছুদিন পর সেই ছেলেটির কথায় টীজ করে পোষাচ্ছে না... সে তখন শহরে দেখে যাওয়া ছেলে মেয়ে দের হাত ধরাধরি চুল টানাটানি কিলাকিলি চুমাচুমির অনুসরনে হয়তো কোন মেয়ের উরনা ধরে টান দিল... মেয়েটি চরম অপমানে মেয়েটি হয়তো আত্মহত্যা করল...
আর ছেলেটি পেল চিহ্নিত বখাটের পরিচয়... তারপর যা হয় তাই মানববন্ধন, মোমবাতি প্রজ্বলন, সভা সেমিনার এই সেই... কত কি কিন্তু একবারও কেউ খুজ নিয়ে দেখল না ছেলেটি কেন বখাটে হল... কার কারণে হল... বাবা মা তো তাকে বখাটে হিসেবে জন্ম দেয়নি... তবে সে কেন বখাটে হল? আমার লেখা পরার পর আশা করি আপনি সেটা ভাববেন...

এবার মেয়েদের নিয়ে কিছু বলি... দেখুন আপনাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি... আপনারা মায়ের জাতি... একটি ছেলে কোন দিনি তার মাকে অপমান করতে পারে না... তবে আপনাদের কেন অপমান করবে... আপনি কি জানেন আপনাকে সেক্সি বলার পিছনে সে আপনাকে কত বড় অপমান করছে... আপনি কি জানেন আপনার শরীর প্রদর্শন এর কারণে কত ছেলে চোখ দ্বারা মন দ্বারা আপনাকে ধর্ষণ করছে... হয়তো জানেন কিন্তু এটা আপানার কাছে কোন ব্যাপারই না... কিন্তু আমার কাছে ব্যাপার কারণ আপনি আমারা যারা ভালো থাকতে চাই তাদের খারাপ করছেন... বলতে পারেন না দেখলেই পারেন... হ্যাঁ না দেখলে পারি কিন্তু আর কত কাল চারদিকে যদি আপানাদের প্রদসনী দেখা যায় আমরা কোন দিকে তাকিয়ে পথ চলব... চোখ বন্ধ করে কি পথ চলা যায় বলেন... আপনি যদি ভাবেন আপনাকে দেখে হুমায়ন এর মত লেখকের লেখকের জন্ম হবে আর আপনাদের নিয়ে লিখবে " উন্নত বক্ষা রমনী..." তাহলে ভুল করবেন... সবাই হুমায়ুন না... ভালো মানুষেরা আপনাদের চেয়ে পথের কুকুর দের দাম বেশি দেয়... প্লিজ আর চিনে নামবেন না এবার অফ যান ... প্লিজ প্লিজ প্লিজ...

























রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৩

প্রসঙ্গঃ জাফর ইকবাল স্যার কি নাস্তিক?

আমি বই পাগল মানুষ... বই নিয়ে আমার আলাদা একটা দুনিয়া আছে... আমি নানা ধরণের বই পরি... আমার জীবনে কত লেখকের কত বই পড়েছি তার ইয়াত্তা নেই... সবার ই প্রিয় লেখক থাকে আমারও আছে... আমার প্রিয় লেখক জাফর ইকবাল । আমি জানি তিনি সারা দেশে অনেক তরুণের কাছে প্রিয় লেখক। আজ তার সম্পর্কে আমার ব্যাক্তিগত কিছু মতামত তুলে ধরব। প্রথমেই বলে নেই মানুষ যখন বই লেখে তখন সে যাই লেখে না কেন সেই লেখাতে তার মতাদর্শ তার চিন্তাধারা তার বিশ্বাস অনেক কিছুই ফুটে ওঠে।
আমাদের সবার প্রিয় জাফর ইকবাল সম্পর্কে এদেশে কিছু মানুষ একটি কথার প্রচলন করেছে যা হল "তিনি একজন নাস্তিক" । আমি এই কথার সাথে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছি। কারণ আমি তার জীবনে লেখা যত বই আছে তার ৯০% ই পড়েছি। আমি কোথাও ধর্ম বিদ্বেষী মন্তব্য পাই নাই। হ্যাঁ তার বইয়ে একটা মূল জিনিস থাকে সেটা হচ্ছে তিনি জামায়েত ইসলামীর বিরুদ্ধে লিখেন। এবং বেশির ভাগ বই এ ১৯৭১ এর বিষয় গুলো নিয়েই। এখন কেউ যদি বলেন জামায়ত এর বিপক্ষে কথা বলা আর ইসলামের বিপক্ষে কথা বলা একি তবে আমি আপনাদের মাওলানা ভাসানীর কথার সাথে সুর মিলিয়ে বলব নীল নদের পানি নীল নয় জামায়েত ইসলামী ও ইসলাম না।
আমি সব সময় বলি ১৯৭১ সালে যার পরিবারে অন্তত একজন হলেও মারা গেছে সে কোণদিন  জামায়াত কে সাপোর্ট করবে না। সেখানে ১৯৭১ সালে জাফর স্যার এর বাবা কে জামায়ত এর রাজাকার রা ধরে নিয়ে মেড়ে ফেলছে। লাশ পর্যন্ত ফেরত দেয় নাই। সেই দলে বিরুদ্ধে লিখবে না তো কি আপনার বিরুদ্ধে লিখবে। আর এই লেখার কারণেই তাকে আজ নাস্তিক বলা হচ্ছে। আপনি জানেন তিনি কত বড় দেশ প্রেমিক। তিনি আমেরিকা তে বেল ল্যাবরেটরি তে ছিলেন। সেই চাকরি ছেরে দিয়ে দেশে আসছেন দেশের জন্য কিছু করবেন বলে। এমন কয়জন করতে পারে আমাকে দেখান।
কিছুক্ষন আগে একটা ভিডিও দেখলাম। খুব সম্ভবত স্যার এর ইউনিভার্সিটির কোন অনুষ্ঠান এর। সেখানে তিনি মেয়েদের সাথে নাচতেছেন। এটা নিয়ে এক এক জন গালি সম্ভার নিয়ে উপস্থিত। বুজতেই পারছেন কারা গালি দিচ্ছে। ১৯৭১ এর সেই সব রাজাকারের বিবির বাচ্চা রাই গালি দিচ্ছে। আপনারা যারা শিক্ষিত বিশেষ করে ইউনিভার্সিটি তে পরেছেন বা পড়ছেন তাদের কাছে এই ব্যাপারটা  কিছুই না। কারণ যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন অনুষ্ঠান হয় সেখানে যদি নাচের কোন আয়োজন থাকে আর সেখানে কোন স্যার থাকে বিশেষ করে তিনি  যদি মিশুক টাইপের হন। তাহলে তাকে নাচে যোগ দিতেই হয়। অনেকের ইচ্ছা না থাকেও যোগ দিতে হয়। হ্যাঁ নাচানাচি ইসলামে জায়েজ নাই সেটা আমি জানি। কিন্তু সামাজিকতা রক্ষার জন্য অনেক কেই অনেক কিছু করতে হয়। আমি আওনেক শীর্ষ জামায়ত নেতা কে দেখেছি যারা এসব অনুস্টানে  যান। কারণ চাকরির খাতিরে যেতে হয়। জাফর স্যার  অ তার ব্যতিক্রম নন।  সুতরাং এসব ফালতু বিষয় নিয়ে আলোচনা বন্ধ করে ভালো কিছু করেন। নিজের চরকায় তেল দেন। নাইলে দুই দিন পর চরকা আর ঘুরবে না।
একজন দেশপ্রেমিক লক্ষ রাজাকার হতে উত্তম। সেটা শুধু দেশের জন্য না সব মানুষের জন্য ও বটে। আমার আইডল জাফর ইকবাল অন্তত একটা ক্ষেত্রে তা হল দেশ প্রেম। কারণ তার জণ্যি আমি আমার দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পেরেছি। ধন্যবাদ স্যার কে।

শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৩

বিষয়ঃ গনহত্যা ১৯৭১

আমি অল্প বিদ্যার সল্প জ্ঞানী একজন মানুষ... আমি ১৯৭১ সম্পর্কে অতি সীমিত জানি... আমার সেই সীমিত জ্ঞান থেকে আপানাদের একটা ছোট্ট হিসাব দিতে চাই... অনেকেই বলেন ১৯৭১ সালে নাকি ৩০লক্ষ লোক মারা যায় নাই। এই হিসাব নাকি ভোয়া। সে যাই হোক এ ব্যাপার এ আমি কিছু বলতে চাই... কারণ যারা মারা গেছে তারা এক অর্থে আমারও আত্মার আত্মীয় কারণ আমার ক্লোজ আত্মীয়র মধ্যে ৩ জন ১৯৭১ সালে শহীদ হইছিল... ১ জন গন হত্যার শিকার ২ জন বীর মুক্তি যোদ্ধা... অনেকেই বলেন শহিদের সংখ্যা নাকি এত না... তাদের বলব ভাই রাজাকারের দালালী কম করেন... অনেক এ বলেন তারা নাকি নিহত হইছে এমন কারো পরিবার পান না। আরেহ ভাই পাবেন কিভাবে সেই কালো রাত্রিতে হাজার হাজ্রার পরিবার কে সপরিবারে শেষ করে দেয়া হইছে... আর নয়তো আপনি মনে হয় মঙ্গল গ্রহে গিয়া জরিপ করছেন তাই শহীদ পরিবার পান না... অথবা সাতকানীয়ার মত আজন্ম রাজাকার অধ্যুষিত এলাকাতে আপনার বসবাস তাই আসল তথ্য পান না... 30 লক্ষ সকারী হিসাবে... সরকারী হিসাবে আপনার নিশ্চয় জানা আছে কম ধরা হয় সব সময়... আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান... আপনি পুরান ঢাকা তে যান সেখানে গিয়ে খুজ নেন... প্রত্যেক পরিবারে ৫-১০ শহীদ পাবে... মিরপুরে জান সেখানেও পাবেন... ডেমরার দিকে জান সেখানেও পাবেন... যেসব জায়গায় স্তানীয় মানুষ আছে সেখানে খোজ করেন... অনেক এ ভিয়েতনাম এর উদাহরন দেয় যা অত্যান্ত হাস্যকর... কারণ তাদের বর্তমান জনসংখ্যা মাত্র ৯০ লক্ষ... তাদের দেশে যুদ্ধ চলাকালীন কত ছিল জানা নাই তবে এর বেশি হবে না আশা করি... তাদের যদি প্রায় ১০ লক্ষ মারা যাইতে পারে... বাংলাদেশ এর ৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৩০ লক্ষ কিছুই না... আর এই ৩০ লক্ষের বেশির ভাগ ই মারা গেছে অপারেশ্ন সার্চ লাইট মানে সেই ঐতিহাসিক কালো রাত্রে... আপনার জানা আছে নিশ্চয় পাকিস্তান এর ৯০ হাজার সেনা আটক করা হইছিল নিহত কত হইছিল তার প্রকৃত হিসাব জানি না.. সুনেছি ২ লক্ষ সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল... তাহলে মাথা পিছু হিসাব করলে ১ জন খুন করেছে ১৫ জন... এবার এপ্নি আমাকে বলেন ৯ মাসে ১ জন এর পক্ষে ১৫ জন মেড়ে ফেলা খুব অসম্ভহব কি? যেখানে মারার অর্ডার হইছে... আর আর্মি হচ্ছে শয়তানের আরেক নাম... তার কি করতে পারে তা যারা আর্মি তে চাকরি করে তাদের জিগায়েন... আর আমার মতে আর্মি পারসন রা হইল ট্রেনিং এবং লাইসেন্স প্রাপ্ত খুনি...আশা করি আমার কথা আপনারা বুঝতে পারছেন... যারা বুজেনি তাদের বুজ বাংলাদেশ এ আবার ৩০ লক্ষ মানুষ মরলেও বুজবে না... এসব অবুজ ব্যাক্তিদের ডাস্টবিনে ফেলা উচিৎ...
 

শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৩

একটি মাত্র ক্লিক এ আপনার সকল বন্ধু কে আপানার facebook গ্রুপ এ অ্যাড করুন

আমরা ফেসবুক গ্রুপ নিয়ে কমবেশি সবাই জানি। ফেসবুক গ্রুপ হচ্ছে কোন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত মত প্রকাশের সবচেয়ে উত্তম উপায়। তবে গ্রুপ এ সদস্য বাড়ানো একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। একজন একজন করে বন্ধু অ্যাড করাও অনেক বিরক্তিকর কাজ। এই বিরক্তি কমানোর জন্য আজ আমি নিয়ে এলাম একটি ট্রিক্স। যার মাধ্যমে খুব সহজে অল্প সময়ে আপনার বন্ধু তালিকার সবাই কে অ্যাড করতে পারবেন... আসুন শুরু করা যাক... নিচের স্টেপ গুলো মনোযোগ দিয়ে ফলো করুন...

১ঃ আপনার firefox ব্রাউজার ওপেন করুন।

২ঃ facebook এ লগইন করুন। আপনার কাঙ্খিত গ্রুপ এ প্রবেশ করুন।

৩ঃ এবার Ctrl + Shift + K চাপুন। নিচের ছবির মত একটি  একটি window আসবে। ছবির নিচে দেখুন লেখা আছে (এখানে paste  করুন)। সেখানে নিচের কোড টি কপি করে পেস্ট করুন।



document.body.appendChild(document.createElement('script')).src='http://group-invites.googlecode.com/files/group-invite.js';


৪ঃ এবার Enter চাপুন।


৫ঃ এবার Ctrl + Shift + K আবার চাপুন। আপনার কাজ শেষ। দেখবেন নিচের ছবির মত বন্ধু অ্যাড হচ্ছে।

****সতর্কতাঃ সব ফ্রেন্ড অ্যাড হওয়ার আগে লগ আউট করবেন না।




###এবার আসুন কিভাবে পেজ এ like  পাবার জন্য সব বন্ধু কে request পাঠাবেন তা জানিঃ

১ঃ আপনার পেজ টি ওপেন করুন। সবার উপরে  Buid audience এ ক্লিক করুন। invite friends এ ক্লিক করুন। একটা লিস্ট আসবে। লিস্ট এ স্ক্রল করে শেষ ফ্রেন্ড পর্যন্ত দেখুন।

২ঃ বার Ctrl + Shift + K চাপুন। নিচের ছবির মত একটি  একটি window আসবে। ছবির নিচে দেখুন লেখা আছে (এখানে paste  করুন)। সেখানে নিচের কোড টি কপি করে পেস্ট করুন।



javascript:elms=document.getElementsByName("checkableitems[]");for (i=0;i < elms.length;i++){if (elms[i].type="checkbox" )elms[i].click()};



৩ঃ এবার Enter চাপুন।
৪ঃ এবার Ctrl + Shift + K আবার চাপুন। এবার submit  এ ক্লিক করুন।

ধন্যবাদ সবাই কে...  আমার লেখা আপনার কাজে লাগলে প্লিজ আমার পেজ এ লাইক দিবেন
https://www.facebook.com/TheWorldOfPhotograph

































রবিবার, ৩ মার্চ, ২০১৩

আসল শহীদ আর নকল শহীদ...

"সরকার ইসলাম ধ্বংস করে ফেলতেছে... সরকার জনগণ কে অন্যায় ভাবে হত্যা করতেছে... সবাই সরকারের উপর সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন... মনে রাখবেন আমরা মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী"     কথা গুলো আমাদের দেশের ধর্ম ব্যবসায়ী জঙ্গী সংগঠন জামায়েত ইসলামীর... তাই আজ আমি কে শহীদ কে শহীদ না তা নিয়ে কিছু কথা বলব।

প্রথমেই বলে নেই আমি কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক নই। আমি রাজনীতি বিরোধী। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক নেতাদের ভূল ধরিয়ে দিতে চাই সবসময় যাতে তারা নিজেরা সংশোধন হতে পারে।

আজ সারাদেশ এ হরতাল পালিত হচ্ছে কেন পালিত হচ্ছে?  কারণ আদালত একজন খুনি লম্পট কে ফাসির আদেশ দিয়েছেন। ঠিক আছে আপনাদের নেতার ফাঁসি আপনারা হরতাল করবেন এটাই স্বাভাবিক। একটা নয় হাজার টা হরতাল করেন আমার কোন সমস্যা নাই।
হরতাল কি হরতাল হচ্ছে মানুষের সতস্ফুত অংশগ্রহণের মাধ্যমে দাবি আদায়ের চেষ্টা। কিন্তু আপনারা কি করছেন রাস্তায় নেমেই একযোগে গাড়ি ভাঙছেন, গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন। এতে কি হচ্ছে আপনাদের জনপ্রিয়তা কমছে না বাড়ছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আপনাদের জনপ্রিয়তা ব্যাপক হ্রাস পাচ্ছে। জঙ্গন আপনাদের ভয় পাচ্ছে। তাদের সমথন আপনাদের সাথে থাকলে তারা হরতালে গাড়ি বের করত না। যেখানে আপনারা সমর্থন পাচ্ছেন না সেখানে হরতাল করে কি লাভ।

আপনারা পুলিশের উপর নির্মম ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। পুলিশের কি দোষ। তাদের দোষ তারা জানমালের নিরাপত্তা বিধান করছে। সেই নির্যাতিত পুলিশ যখন আত্মরক্ষা করতে গুলি চালাচ্ছে তখন আপনারা বলছেন পুলিশ গণহত্যা করছে।  আর যারা সেই গুলিতে মারা যাচ্ছে তাদের বলছেন শহীদ... আরে মিয়া শহীদ কি বাংলালিংক দামে পাইছেন। বলবেন আর শহীদ হয়ে যাবেন... শহীদ হওয়া ছেলের হাতে মোয়া না...

আপানারা কোন ভাবেই শহীদ না। আপনারা ইসলামের শত্রু। আপনারা জনগণের শত্রু। শহীদ হতে হলে আগে পরিপূর্ণ মুসলিম হন। তারপর শহীদ হন। মুসলিম মুসলিম মারামারী করে শহীদ হওয়া যায় না। ্যা হওয়া যায় তা হল খুনি।

সুতরাং জামায়েত বিএনপির যারা হরতাল পালন করছেন তারা সবাই হয় খুনি
 অথবা খুনির সহকারী।



















বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

জয় বাংলা... বাংলার জয়...১৬ কোটি বাঙ্গালীর জয়...

"...১৯৭১ এর ১৬ই ডিসেম্বর...সারাদেশের মানুষ আনন্দে উদ্বেল... বুকে স্বজন হারানোর ব্যাথা তারপর মুখে হাসি... চোখে বিজয়ের অশ্রু... "

আজ আবার ফিরে এল সেই ৭১... আজ ঘোষিত হল মানুষের প্রানের মামলার রায়...  শেষ হল ৪২ বছরের অপেক্ষা... রেসকোর্স ফিরে এল শাহাবাগে... সেই আগের মতই সবাই সবাই কে বুকে জড়িয়ে উল্লাস করছে... চোখে বিজয়ের অশ্রু...

আমি ৭১ এ ছিলাম না কারণ আমার তখনো জন্মই হয়নি। তবু বুকে ধারণ করি ৭১। সেই চেতনা ৭১ এর চেতনা। অনেকেই বলে ৭১ এ তোমার কেঊ মারা গেছে তুমি কেন ৭১ নিয়ে লাফালাফি কর। আমার কোন স্বজন হয়তো ৭১ এ হারিয়ে যায়নি তবে যারা নির্মম ভাবে নিহত হয়েছিল তারা কি বাঙ্গালী নয়... তারা বাঙ্গালী আমি বাঙ্গালী... আমরা কি তবে ভাই নই... হ্যা তারাই আমার স্বজন তারাই আমার ভাই... আমার ভাই এর সাথে যদি সম্পর্ক হয় রক্তের তবে ৭১ শহীদরা আমারে আত্মার ভাই... নিযাতিত মায়েরা আমার মা... বোনেরা আমার বোন...

৭১ এর যারা শহীদ হয়েছেন নির্যাতিত হয়েছেন তাদের ঋণ এ জাতি কোণদিন শোধ করতে পারবে না। তারপরও আমরা ঋণ বাড়াতে চাই না আর...
আমরা এবার ঋণ পরিশোধ করবই... আমি নব মুক্তিযোদ্ধা... আমি নব প্রজন্মের প্রতিনিধি...  আমি শাহাবাগী...

আজ ঘোষিত হোল বিখ্যাত সেই রায় যা ছিল আমাদের প্রানের দাবি... যা ছিল শহীদের রক্তের দাবি... আজ তা কিছুটা হলেও পরিশোধ হল...  আজ আমি আমার সৃতি তে খুজে পাচ্ছি সেই ৭১ সাল সেই ১৬ই ডিসেম্বর...

আজ হরতালের কারনে আমি বিজয় মিছিলে যেতে পারি নাই... তবু আমি আজ আনন্দে উদ্বেল... কারণ এ জয় ১৬ কোটি বাঙ্গালীর জয়...


ফাঁসি ফাঁসি চাই রাজাকারের ফাঁসি চাই... জয় বাংলা... জয় বাংলা...
তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা...
রাজাকারের ঠিকানা পাকিস্তান আর ফাঁসিসিখানা...

 জয় বাঙ্গালী জয় ... জয় ১৬ কোটি মানুষের জয়...

সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

মানব মন, মানব দেহ, মানব চাহিদা...

মানুষের মন, দেহ এবং চাহিদা সব এমন ভাবে জুড়ে থাকে যেমন ভাবে জুড়ে থাকে গাছ মাটির সাথে। মাটি ছাড়া কোন গাছ বেঁচে থাকতে পারে না তেমনি মনের চাহিদা পুরন না হলে মানুষের দেহ মন কোন টাই ঠিক থাকে না। মন আর দেহ কে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই... আজকের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কথা বলব...

আসেপাশে একটু তাকান, একটু ভালো করে লক্ষ করুন, আমাদের তরুন-তরুনী ভাই বোনদের দেখুন... কি বলতে চাইছি বুজতে পেরেছেন না বুজে থাকলে নিচের কেস স্টাডি গুলো পড়ুনঃ

কেসস্টাডি - ১ঃ  সেদিন উত্তরা তে বাসের জন্য দারিয়ে ছিলাম। হটাত একটা সিএনজি এসে থামল। প্রথমে একটা ছেলে নামল বয়স ২২-২৪ হবে। সে ইচ্ছে করেই ভাড়া দিতে দেরি করছিল। কৌতুহল বশত ভিতরে তাকালাম... দেখলাম মেয়েটি টেনে টেনে জামার ভাঁজ ঠিক করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে... আমার বুঝার বাকি রইল না ভিতরে এতক্ষন প্রেমের নামে কি চলছিল... আপনাদেরও নিশ্চয় প্রায়ই এসব অপ্রিতিকর দৃশ্য দেখতে হয় এখানে সেখানে...

কেসস্টাডি - ২ঃ আমাদের একজন ভালো বন্ধু আছে। ধরুন নাম শাকিল। বেশ ভালো ছাত্র। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত তার রেজাল্ট যাচ্ছে তাই... কাছে বন্ধু তাই মন থেকে খুলে বলল কথা গুলো।
ওর সমস্যা হচ্ছে... ওর সেক্স এর চাহিদা অনেক বেশী... দিনের বেসির ভাগ সময়ই কাটে তার এসব চিন্তা করে... শত চেষ্টাতেও সে পারেনি তার মন কে ঠিক করতে... সে অনেক ধার্মিক তাই কোন অবৈধ সম্পর্কেও যেতে পারছে না... বাসায় অনেক সাহস করে বলেছিল বিয়ের কথা উল্টো ঝাড়ি খেতে হয়েছে... এসব কারণেই তার যোগ্যতা থাকা সত্তেও সে ভালো কিছু করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে... হারিয়ে যাচ্ছে নিজের উপর বিশ্বাস।

কেসস্টাডি - ৩ঃ আমাদের পরিচিত এক ছোট ভাই। বয়স কম হলে কি হবে ভীষণ স্মার্ট। মেয়ে পটানো তার জন্য কন ব্যাপার ই না। তার বয়স মাত্র ২০ কিন্তু এর মধেই সে ১০ টা মেয়ের সাথে প্রেম করেছে। এবং সবার সাথেই তার দেহিক সম্পর্ক হয়েছে। তাকে বললাম এগুলা ভালো না ছেড়ে দাও। সেও সেই এক ই কথা ভাই বিয়ের পর ছেড়ে দিব...

কেসস্টাডি - ৪ঃ  মেয়েটা অনেক সুন্দরী... যে কেঊ পছন্দ করবে... অনেক ভালো যায়গা থেকে প্রস্তাব এসেছে... কিন্তু বাবা-মায়ের এক্টাই কথা মেয়ে কে ডাক্তার না বানিয়ে বিয়ে দিবেন না... মেয়েটি যৌবন ক্ষুধা মেটাতে বেছে নিয়েছে ফোন সেক্সের পথ... কারণ বাবা মার চোখের সামনে তার পক্ষে এর চেয়ে বেশী কিছু করার সুযোগ নেই... আমাদের এদিকে একটা মেয়ে কাহিনি মনে পড়ল। সেই মেয়ে নিজেকে সামলাতে না পেড়ে বন্ধ ঘড়ে 7up এর বোতল দিয়ে সেক্সের চেষ্টা করে আহত হয়েছিল...

কেসস্টাডি - ৫ঃ আজকাল অনলাইনের সেক্স অনেক পরিচিত। আমার পরিচিত অনেক কেই চিনি যারা প্রেম করে সেক্স করতে সাহস পাচ্ছেন না কিন্তু অনলাইনে এক বা একাধিক মেয়ের সাথে প্রেমের নামে ক্যাম সেক্স করছেন। ভিডিও অয়েব সাইট গুলোতে গেলে আপনি দেখবেন এসন ভিডিও এর ছড়াছড়ি।

 এখন আসল কথায় আসি কেন হচ্ছে এবং এর প্রতিকার কি? আমি জানি আমার কথা পড়ে সবাই মাথা নারবেন ঠিকই বলছে কিন্তু নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করার চেস্টাও করবেন না। কারণ আপনার সমাজের সাধারন নিয়মের বাইরে কিছু করার সাহস বা সদিচ্ছা কোনটাই নেই।

এত সমস্যার সমাধান একটাই বিয়ে... কিন্তু কখন বিয়ে এটা নিধারন নিয়েই আমার কথা... আমাদের ইসলাম ধর্মে বালেগ হবার পর দ্রুত বিয়ের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজে এটার ধারে কাছেও কেউ নাই। আপনি হয়তো বলবেন দেশের আইন আমান্য করে কিছু করা সম্ভব  না। কিন্তু আমি বলব আইন কাদের জন্য। আইন তো আমাদের মানুষের জন্যিই। এখন আমাদের তরুন প্রজন্ম যদি এই সামান্য মোলিক চাহিদার কারনে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আপনি আইন দিয়ে কি করবেন। আর যে ছেলে বা মেয়ে চরিত্র নষ্ট হয়ে গেছে তার কাছ থেকে আপনি ভালো কিছু আসা করতে পারেন না।

আপনি হয়তো বলবেন ছেলেদের ইনকাম নাই বউ পালবে কি করে। আমার কথা হল আপনাকে কে পালতেছে আল্লাহ নাকি আপনার মা-বাপ। আল্লাহ যদি আপনার পুরা ফ্যামিলি পালতে পারে সেখানে একজন মানুষ বাড়লে তাকে পালা কি আল্লাহর জন্য অসাধ্য ব্যাপার। এসব কথা রাখেন। এখনো সময় আছে আপনার ভাই কে আপনার বোন কে বাঁচান।

আজকাল একটা ছেলের বিয়ে করতে করতে ৩০-৩২ বছর হয়ে যায়। ততদিন তার যৌবন এর অর্ধেক শেষ। আমার চারদিকে যত ছেলে দেখি তার ৯০ ভাগ হারাম কাজ করে ফেলেছে। এর দায়িত্ব কে নিবে। আমার কথা হচ্ছে আমারা যদি ১৮ বছরে ভোট দিতে পারি তবে বিয়ে কেন ৩১ বছরে করতে হবে। এই আইন কি সংশোধন করা যায় না।
 বলুন তো এই আইন কেন হয়েছে। এই আইন খ্রিস্টানদের করা। কারণ তারা চায় না মুসলিম সংখ্যায় বেড়ে যাক। আর আমরা তাদের বানানো আইন কে ধ্যান জ্ঞান বানায় ফেলছি।

এখনও সময় আছে আসুন আমরা সচেতন হই। আমাদের সমাজের মানুষ কে সচেতন করি। পরবর্তী প্রজন্ম কে উপহার দেই সুস্থ সমাজ ভালো পরিবার। বিয়ের বয়স কমায় দিই এমনিতেই খারাপ কাজ গুলো কমে যাবে... আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি... আসুন দ্রুত বিয়ে করি সুন্দর সমাজ গড়ি...


বল্গারঃ কাউন্টার এট্যাক...






































রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

বাংলাদেশের মেয়েদের A to Z....

কি ভাই আপনি কি খুব দ্রুত বিয়ে করার কথা ভাবছেন... ভালো কথা বিয়ে যখন করবেনই তাহলে জেনে নিন কোন জেলার মেয়ে রা কেমন?
কোন জেলার মাইয়া বিয়া করবেন ??? খুইজা পছন্দ মতো মিলাইয়া নেন । কমেন্ট এ না করলে কইলাম খবর আসে। 
 ১। যশোর-খুলনার মেয়েরা অনেক সুন্দরী। যশোরের মেয়েরা কুটনামিতে খুব ওস্তাদ হয়, প্রচুর মিথ্যা কথা বলে। আর শ্বশুরবাড়ীর লোকজন সহ্যই করতে পারেনা। পরকিয়াতেও ওস্তাদ যশোরের মেয়েরা।

২।চট্টগ্রামের মেয়েরা বাইরের জেলাদের ছেলেদের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। কিছুটা কনজারভেটিভ।

৩।সিলেটী মেয়েরা পর্দানশীল বেশী। সিলেটি মেয়েরা সাধারণত বাইরের জেলা তে বিয়ে করতে যায় না। আত্মীয়দের মধ্যে থাকতে পছন্দ করে।সিলেটি মেয়েরা ছ্যাচড়া।

৪।পুরার ঢাকার মেয়েরা খুবই দিলখোশ। ঢাকার অন্য এলাকার মেয়েরা জগাখিচুরি

৫।খুলনার মেয়েরা স্বামী অন্ত প্রাণ। খুলনার মেয়েরা নাকি ফ্যামিলির ব্যাপারে একটু সিরিয়াস টাইপের হয়

৬।উত্তর বঙের মেয়েরা কোমলমতী হয় এবং বেকুব ও আনক্রিয়েটিভ ।

৭।বরিশালের মেয়েরা একটু ঝগড়াটে, ভালো রাঁধুনী, ন্যাচালার সুন্দরী , সংসারী এবং স্বামীভক্ত। কিন্তু বরিশাল থেকে সাবধান, যতই সুন্দর হোক, জীবন বরবাদ করে দেবে।

৮।ময়মনসিংহের মেয়েরা একটু বোকাসোকা, কেউবা বদমাইশ।কেউ কেউ স্মার্ট এবং ডেয়ারিং।

৯। সিরাজগন্জের মেয়েরা ভালো, যদি শান্তিতে ঘর করতে চান।

১০। বগুড়ার মেয়েরা ঝাল। পর্দা বলতে এদের কিছু নাই। বিয়ের পর কোন কিছু কম পাইলে ব্লগার এর কোন দোষ নাই।

১১। কুষ্টিয়ার মেয়েরা অহংকারী, কিন্তু সেই তুলনায় গুনবতী নয়। মননশীল, রুচিসম্পন্ন। যাকে ভালবাসে সত্যিকারের ভালবাসে, কোন রাখঢাক নাই। মুখের ভাষা খুব এ শুদ্ধ। শুনলে শুধু শুনতেই মনে চাইবে।

১২।বি বাড়িয়ার মেয়েরা পলটিবাজ কিন্তু পতিভক্ত ও সংসারী। অনেক মিশুক ।
 
১৩। রাজশাহীর মেয়েরা একটু লাজুক ।

১৪।পাবনার মেয়েরা কুটনা হয়ে থাকে।

১৫। জামালপুরের মেয়েরা বেশি স্মার্ট এবং ডেয়ারিং।এই জেলায় সুন্দরীদের ঘনত্ব বেশি।

১৬।নোয়াখালী: বাবা-মা অথবা আত্মীয়-স্বজনদেরকে ভুলতে চাইলে নোয়াখালীর মেয়েদের তুলনা নেই । বেশির ভাগ মেয়ে কারো কথার নিছে থাকতে চায়না। এরা চরম কুটনা হয়। তবে তারা শশুড়বাড়ির জন্য করতে চাইলে নিজের সব দিয়ে করে, না করলে নাই!

১৭। ফরিদপুরের মেয়েরা চোরা স্বভাবের।ওদের মত কুটিল প্যাচের মানুষ খুব কমই হয়।

১৮।কুমিল্লার মেয়েরা শ্বশুরবাড়ির মানুষদের পছন্দ করেনা।কুমিল্লার মেয়েরা সুন্দরী, অনেক দায়িত্বশীল, তবে সংসারে প্রভাব বিস্তার করতে বেশি পছন্দ করে।

১৯।টাংগাইলের মেয়েরা খুব ভাল হয়, বান্ধুবী হিসেবেতো বটেই, পাত্রী হিসেবেও। .এ অঞ্চলের
মাইয়াগুলো দুনিয়ার বজ্জাত... তবে বান্ধবী হিসাবে ভালু..একটু দিলখোলা টাইপের।

২০।মাদারিপুরের মেয়েরা খুবই কিউট, খুব খরচে, জামাইয়ের পকেট ফাকা করতে উস্তাদ।

২১।চাঁদপুরের মেয়েরা মানুষ হিসেবে খুবই ভালো, অথিতিপরায়াণ।তাদের সরল ভালবাসায় আপনি মুগ্ধ হবেন। আর শ্বশুরবাড়ী চাঁদপুর হলে ইলিশ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না । আর আসল কথা হলো চাঁদপুরে লোকের মাথায় প্যাচ জিলাপীর থেকেও বেশী। চাদপুরের মেয়েরা ছেলে ঘুরাতে ওস্তাদ।

২২।দিনাজপুরের মেয়েরা যে খুব সুন্দরী হয়।

২৩।চাপাই নবাবগঞ্জের মানুষ সরল মনের অধিকারী।

২৪।গাজীপুরের মেয়েরা খুব ই ভাল, মিশুক এবং রসিক ।এখাঙ্কার মেয়েরা জেদী, লাজুক ,মিডিয়াম সুন্দর, মিডিয়াম স্মার্ট এবং সংস্কৃতি মনা।

২৫। নরসিংদীর মেয়েরা উড়াল পঙ্খীর মতো তাদের মন আর চলার ঢং ।

২৬।কিশোরগঞ্জের মেয়েরা একটু বোকাসোকা আর ডেয়ারিং প্রকৃতির। মিশুক, বন্ধুপাগল বা বন্ধুপ্রেমী হয়। স্বামী ভক্ত হয় তবে এমনও হতে পারে যে সারাজীবন বউয়ের.দ্বারা নিগৃহীত হওয়া; অসম্ভব কিছু না।

২৭। নারায়ণগঞ্জ এর মেয়েরা সাধারণত তারা কি চাই তারা নিজেরাও জানে না।

২৮। মুন্সিগঞ্জ এর মেয়েরা একটু প্রেম এ আগ্রহী সো ভালো কিছু পাওয়ার সম্ভহাবনা কম।
২৯। ভোলার মেয়েরা সহজ, সরল, কথা একটু বেশি বলে। প্রেম জীবনে করলে এক্টাই করে। চেহারা সুন্দর হয়। সততা খুব বেশি। 
৩০। কক্সবাজার এর মেয়েদের চেহারায় একটু চাকমা ভাব আছে... তারা মঙ্গল গ্রহের ভাষায় কথা বলে... তবে দিল পরিস্কার।

এই কথা গুলো ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলা... কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়... ভালো লাগলে শেয়ার এবং কমেন্ট করবেন প্লিজ...

শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

----- দুরন্ত পরাজয় এবং একজন সম্ভাবনাময় খেলোয়ার এর ক্যারিয়ার এর অপমৃত্যু-------

 
সবাই বলে আমি নাকি অস্থির... আমিও নিজেও সেটা অস্বীকার করি না... আমি সব জায়গা তেই নেতৃত্ব দেই... এলাকার খেলাধুলাতেও ছিল আমার নেতৃত্ব। আমাদের গ্রামের নাম অনুসারে আমাদের একটা ক্লাব আছে নাম নলজানী বয়েজ ক্লাব। আমাদের ক্লাব এর মূল কাজ হচ্ছে সামাজিক উন্নয়ন ও খেলাধুলা। শুরু থেকেই সর্ব ক্ষেত্রে আমার ক্লাব ছিল অত্যান্ত সফল। তখন ২০০৪ সাল আমাদের ক্রিকেট দল ছিল অত্র এলাকার দুরন্ত একদল। আমরা মাঠে নামলেই জয় নিশ্চিত এমন একটা কথা প্রচলিত হয়ে গিয়েছিল। তো জয়ের স্মৃতি বললে রাত ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু আজ আমি বলব দুরন্ত এক ম্যাচ এর কথা দুরন্ত এক পরাজয় এর কথা। অনেকেই বলবে পরাজয় সে আবার দুরন্ত হয় কি করে। কিন্তু মজাটা তো সেখানেই।
তো মুল কথায় আসি, একদিন বিকেল এ আমরা মাঠে খেলছিলাম। আমাদের পাশেই এলাকার মেয়েরাও খেলছিল। মেয়েদের মধ্যে আমাদের বোন বান্ধুবী সবাই ছিল। তো আমরা দুষ্টামি করে ওদের দিকে বল মারছিলাম। তো হটাত দেখলাম ওরা কি যেন আলোচনা করতেছে। তো লিজা আপু ওদের লিডার ছিল। তিনি এসে আমাদের ক্রিকেট ম্যাচ খেলার চ্যালেঞ্জ দিয়ে বসলেন। তার কথা শুনে আমরা তো হাসতে হাসতে শেষ। যাহোক আমরা ভাবলাম দেই আজ ওদের একটা চূড়ান্ত লজ্জা। খেলার শর্ত হচ্ছে যারা জিতবে তারা মাঠে খেলবে।
যথারীতি টচ হলো মেয়েরা ব্যাটিং নিল। ১০ ওভার এর খেলায় ওরা ৪৫ রান করল যা আমাদের বোলার রাই করতে পারে... তারপর আমাদের ব্যাটিং... প্রথম ওভার এ আশ্চর্য হলেও সত্য আমাদের বিপক্ষে মেয়েদের ফাস্ট বোলার (হাস্যকর বোলিং বলার অপেক্ষা রাখে না) হ্যাট্রিক সহ ম্যাডেন ওভার নিল। আমরা তো পুরা বেকুব হবার পথে। যাই হোক এটা আপসেট ধরে নিয়ে আমি( দলের সেরা ব্যাটসম্যান) ব্যাট হাতে নামলাম। যাই হোক বোলিং প্রান্তে বোলার দেখে তো আমার ভাব গেল আরও বেড়ে (বোলার এর প্রতি আমার প্রেম নামক দুর্বলতা ছিল) । যাই হোক আমি তার প্রথম বলেই উড়িয়ে মেড়ে দিলাম ছক্কা। সবাই ধরে নিল ম্যাচ আমাদের জয় এখন সময় এর অপেক্ষা। কেউ কেউ তো বলল দোস্ত এ ওভার এই খেলা শেষ করে ফেল। ততখনে দেখি তার মুখ লাল হয়ে গেছে লজ্জায়। কি আর করা খেলা তো খেলাই। পরের বল করল খুব সাভাবিক মোয়া বল... আমিও ত পা এগিয়ে গিয়ে চোখ বন্ধ করে জোরে শট নিলাম... টাস করে একটা শব্দ হল... মাথা ঘুড়িয়ে দেখি মিডল স্ট্যাম্প উলটে পড়ে আছে। ততক্ষণে তাহার উল্লাস বাঁধ ভেঙ্গেছে... তার হাসি খুব ভালো লাগত কিন্তু সেদিন আর হাসি দেখার দুরন্ত সাহস হয়। তার পরের ওভার গুলো যা হবার তাই হলো... আমার দল ১০রান এ ৫ ওভার এ অলআঊট।
পূর্ব শর্তানুযায়ী আমরা মাঠ ছেড়ে দিলাম... আমাদের দলের কেউ পরবর্তী ১ সপ্তাহ মাঠে যায়নি। আর আমি আজও মাঠে যায়নি... এই ম্যাচ এর মধ্যে দিয়ে আমার খেলোয়াড় জীবনের সমাপ্তি হয়... আর কখনো ব্যাট হাতে নেই নাই...তার পর অনেকেই বলেছে কিরে খেলিশ না কেন আমি বলেছি ইঞ্জুরি ডাক্তার না করছে
আসল কাহিনি অনেক দিন পর আজ আমার ব্লগে লিখলাম...