এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ৬ জুলাই, ২০১৩

নারীর সমান অধিকার প্রসঙ্গে কিছু কথা ...

অনেকেই বলেন ইসলামে নাকি সকল ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমান অধিকার প্রদান করেছে বা সমান অধিকার দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে... আসলেই কি তাই ? আসলেই কি সম্ভব নারী পুরুষ সমান অধিকার দেয়া?
আমি বলব না সম্ভব নয়... কেন সম্ভব নয় জানতে চান? আসুন কিছু বিষয় লক্ষ করি?

ইসলামের কথা পরে আসবে আগে আসুন দেখি আমাদের সমাজ কি নারীদের সমঅধিকার দিচ্ছে কিনা...

প্রথমতঃ ছেলেদের কথা চিন্তা করুন। ছেলে রা ইচ্ছা করলেই খালি গা হতে পারে। খালি গায়ে যেখানে খুশি যেতে পারে। অন্যদিকে মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে খালি গায়ে হওয়ার কথা চিন্তাই করতে পাড়া যায় না... কারণ নারীর শরীর অন্য কে দেখানো আমাদের সমাজের নারীদের জন্যই অপমান জনক। এখন বলুন এই ক্ষেত্রে বৈষম্য আপনি কিভাবে দূর করবেন। আপনি তো চান নারীদের সমান অধিকার দিতে... তবে প্রথমে আপনার বাড়ি থেকে শুরু করুন... আপনার মা, বোন কে অনুমতি দিন খালি গায়ে প্রকাশ্যে চলাফেরা করুক... আপনি শুধু নারীর সমান অধিকার চাইবেন আর এ ক্ষেত্রে তাদের বঞ্চিত করবেন তা তো হয় না...

দ্বিতীয়তঃ কোন ছেলের গায়ে কোন ছেলে অথবা মেয়ে যদি হাত দেয় সেটা আমাদের সমাজ খারাপ চোখে না দেখলেও অনুমতি ছাড়া কোন মেয়ের শরীরে হাত দেয়া নারী নির্যাতনের শামিল। যদি সমান অধিকার দিতে চান তবে গায়ে হাত দেয়ার এই অধিকার এও সমতা আনতে হবে। আপনি কি মেনে নিতে পারবেন, আপনার মা অথবা বোন কে রাস্তায় কেউ বুকে হাত দিলে। রাস্তায় তাদের সাথে প্রকাশ্যে কোলাকুলি করলে কি মেনে নিতে পারবেন... জানি পারবেন না, কারণ আপনি নিজেই সুবিধাবাদী কারণ আপনি চান নারী স্বাধীনতা শুধু ঘরের বাইরে, পরিবারের বাইরে সকল নারীর থাকুক... আপনার উদার মনা নিচু মানসিকতা কে আমি ধিক্কার জানাই...

তৃতীয়তঃ একজন ছেলে রাতের বেলা বাইরে থাকতে পারে... কারণ তাকে জোর করে কেউ ধর্ষণ করবে না... তার দামি সতীত্ব নেই যেটা তার হারানোর ভয় আছে... এখন আপনি যদি নারীদের সমান অধিকার দিতে চান তবে তাদের রাতে যেখানে সেখানে অবাধ চলাচলে বাঁধা দিতে পারবেন না... কিন্তু আপনি যদি এটা করতে চান তবে পতিতাদের কেন খারাপ বলছেন। তারা তো মুক্ত সমঅধিকার ভোগ করছে... তারা রাতের বেলা যা ইচ্ছা তাই করছে... তাদের যদি খারাপ বলেন তবে সম অধিকার প্রাপ্ত হয়ে রাতের আঁধারে একা ঘুরতে চাওয়া মেয়েটী কে আমরা কেন পতিতা বলব না...

চতুর্থঃ একটা ছেলে যদি চার টা বিয়েও করে তাকে সমাজ খারাপ চোখে দেখে না... দেখলেও খুব একটা খারাপ ভাবে না... অন্য দিকে একটা মেয়ে যদি চারটা স্বামী নিয়ে সংসার করে তবে আমাদের সমাজ কি মেনে নিবে... আমাদের সমাজ না শুধু বিশ্বের কোন সমাজের মানুষই তা মেনে নিবে না... যদি নারীদের সমান অধিকার দিতে চান তবে নারীদের একাধিক পুরুষ কে বিয়ে করার অধিকার কেন দিবেন না এটা তো সমান অধিকার... কি আপনি মানতে পারবেন আপনি আপনার স্ত্রীর চতুথ স্বামী... আর আপনার জৈবিক চাহিদা পূরণের সুযোগ আসবে রাত ৪ টায়... সিরিয়াল বলে কথা... :P
মানতে পারবেন আপনার মায়ের ৪ টা স্বামী... চোখ বন্ধ করে একবার চিন্তা করুন...

এবার আসল কথায় আসুন... এমন শত শত কাজ আছে যেগুলাতে নারীদের মানায় না... যেসব কাজ নারীদের মানহানীকর... সেসব ক্ষেত্রে নারীদের সমান অধিকার দেয়া ভুল কি সঠিক তা সিধান্ত নেয়ার দায়িত্ব আপনার... আমি শুধু কিছু কথা জানিয়ে দিলাম...।

নারীরা ভেবে নিয়েন না আমি আপনাদের বিরোধী... আল্লামা সফি সাহেব তার ভিডিও তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন... যারা কথা গুলো মানবে তাদের জীবন সুন্দর হবে যারা মানবে না তাদের জীবন কত টা খারাপ ভাবে যায় তা শুধু অপেক্ষা করুন এবং দেখুন...

নারীদের যেসব ক্ষেত্রে বেশি অধিকার দরকার সে ক্ষেত্রে ইসলাম নারীদের বেশি অধিকার দিয়েছে... আর যেক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই সেক্ষেতে কমিয়ে দিয়েছে... এবং তা নারীর মর্যাদা এবং স্মমান রক্ষা করার জন্যই... সমান অধিকার নয় ইসলাম যতটুকু অধিকার দিয়েছে ততটুকু বাস্তবায়ন হলেই মুসলিম নারীরা পৃথিবীর অন্য দেশের অন্য ধর্মের নারীদের থেকে অধিক মরাযাদা সম্মান এবং অধিকার পাবে... অধিক সুখে থাকবে... তাই প্রয়োজন ইসলামের সঠিক শিক্ষা... ইসলামী শাসন ব্যবস্থা... আল্লাহ আমাদের সবাই কে হেদায়েত দান করুন... আমিন।

মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০১৩

কোরআন পাঠ করার পুরষ্কার হাতেনাতে পেলাম...

কোরআন তেলাওয়াতের ফলাফল হাতে নাতে পেলাম আজ। আজ দুপুরে ইউনিভার্সিটিতে যাবার আগে মঞ্জিল এর আমাল করেছিলাম। মঞ্জিল হচ্ছে কিছু বিশেষ সুরার বাছাইকৃত কিছু আয়াত। বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাবার জন্য এই আমাল খুবই কার্যকরী। মূলত যারা তাবলীগে সময় লাগান তারা এই আমলের এহতেমাম করে থাকেন। আমিও টুকটাক তাবলীগে সময় দেই। সেই সুবাদে এই আমাল টা আমি জানি। তবে আমি একটু ফাকিবাজ টাইপের টাই নিয়মিত আমল করা হয় না।
আজ দুপুরে ভাবলাম আগামীকাল যেহেতু হরতাল সুতরাং মঞ্জিলের আমল করে যাই দেশের অবস্থা ভালো না কখন কোন বিপদ হয় বলা যায় না। মঞ্জিলের আমল করে বাসা থেকে বের হলাম। যথারীতি ক্লাসে গেলাম। বলে রাখা ভালো আমার বাসা থেকে আমার ইউনিভার্সিটি অনেক দূরে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে সেখানে যেতে।
আমার ক্লাস শেষ হলো ঠিক রাত ৯টায়। ক্লাস থেকে বের হয়ে বনানী আসলাম রাস্তা পার হয়ে বাস স্টপে গিয়ে দেখি লোকে লোকারণ্য... কণক, দেশ বাংলা, বেঙ্গলে উঠার জন্য বিশাল লাইন... মিনিমাম হাজার খানেক লোক তো হবেই... এত বড় লাইনের পিছনে দারালে বাসে উঠতে মিনিমাম ২ ঘন্টা লাগবে। তো দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভাবছিলাম আল্লাহই জানে কখন বাসায় পৌছাতে পারব। এদিকে পকেটে আছে মাত্র ৪৭ টাকা যদিও স্বাভাবিক ভাড়া ৪৫ টাকা আর ছাত্র ভাড়া হলে ২০ টাকা... কিন্তু হরতালের রাতে বাস ওয়ালাদের দাম বেড়ে যায় তখন  ৫০-৬০ টাকাও ভাড়া দাবি করে... কি করব ভাবছিলাম একবার যাত্রী ছাউনি তে বসছিলাম আবার উঠে গিয়ে রাস্তায় দাঁড়াচ্ছিলাম... এদিকে বাঁশ আসতেও অনেক দেরি করছে...

তখন হটাত দেখি খুব সুন্দর ভাষায় আমাকে কে যেন ডাকছে ভাইয়া শুনুন... পিছনে তাকিয়ে দেখি একটা ছেলে বাইকে বসা আমাকে ডাকছেন... ভাবলাম কোন অ্যাড্রেস হয়তো জিজ্ঞেস করবেন... কাছে যেতেই বললেন আপনি কোথায় যাবেন... আমি বললাম উত্তরা যাব... উনি বললেন আমিও উত্তরা যাব আপনি ইচ্ছা করলে যেতে পারেন আমার সাথে... লোকটার দাড়ি ছিল অনেক বড় বড়... তার চেহারা কালো হলেও নুরানী চেহারা... যাহোক এমনি তে হয়তো অপরিচিত কারও বাইকে উঠতাম না কিন্তু লোকটা এত সুন্দর করে বলল আর তার চেহারায় এমন সুন্দর একটা নূর ছিল যে আমি না করতে পারলাম না... ভহদ্রতা করে বললাম আপনার কষ্ট হবে না তো... তিনি বললেন না কষ্ট হবে না... আমি উনার বাইকে উঠলাম... উনি চালানো শুরু করলেন... আমি বাইকে বসে তখন আমলের কথা ভাবছি... যে আমলের কারণে আল্লাহ কত সহজে আজ বাসায় যাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে গেল... আসার সময় দেখেছি আমার কয়েকটা বন্ধু বাসের জন্য অপেক্ষা করছে... বাইকে বসেই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলাম... উনি আমাকে আযমপুর নামায় দিলেন... নাম জিজ্ঞেস করলে জানালেন আক্তার নাম... প্রসংক্রমে জানতে পারলাম উনি আমার ভার্সিটির ই অন্য ডিপার্টমেন্টের অনেক সিনিয়র বড় ভাই... যাহোক উনাকে ধন্যবাদ দিলাম এবং উনি সালাম দিয়ে বিদায় নিলেন... আল্লাহ উনার মঙ্গল করুন... তারপর আবার বাসে ঊঠার জন্য অপেক্ষা এখনও আমাকে অনেকদুর যেতে হবে... ২ মিনিটের মধ্যেই একটা সালসাবিল বাস এসে হাজির আমি ভিড় থেকে একটু সামনে দাঁড়িয়েছিলাম... বাস টা একেবারে আমার সামনে এসে দাঁড়াল... বাসের কিছু যাত্রী নামলেও বাসে অনেক ভিড়... ভিড় ঠেলে ভিতরে ঢুকলাম... এখানেও দেখি আমালের পুরষ্কার... বাসে এত এত যাত্রী দারানো কিন্তু একটা সিট খালি কারও চোখেই পরেনি মনে হোলো... আমি গিয়ে সেই সিটে বসলাম... অল্প সময়ের মধ্যেই আমার গন্তব্যে পৌছলাম কারণ হরতালের আগের রাত হলেও কোন জ্যাম ছিল না... আমি বাস থেকে নেমে হিসাব করলাম আমার খরচ হবার কথা ছিল ৫০-৬০ টাকা কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমার খরচ হলো মাত্র ১০ টাকা... সময় লাগার কথা ছিল ৩-৪ ঘন্টা সময় লাগল মাত্র ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট... আল্লাহ কি না করতে পারেন... আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া আদায় করলাম... পকেটে তখনো ছিল ৩৭ টাকা ... ১৫ টাকা দিয়ে ৫ টা কলা কিনলাম আম্মার জন্য ...১০ টাকা দিয়ে বেলের সরবত খেলাম... তারপর আস্তে ধিরে হেঁটে বাসায় আসলাম... এখনও মানিব্যাগে আছে ১২ টাকা...

আল্লাহ তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ... আর ইনশাল্লাহ কোন দিন মঞ্জিল এর আমাল বাদ যাবে না... আল্লাহ আমাকে নেক হায়াত এবং সহি বুজ দান কর...  আমিন...

সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৩

আমাদের সমাজ , আমাদের ছেলে মেয়ে রা কোথায় দাড়িয়ে…

আজ বিকেল বেলা IELTS এর ক্লাস করব বলে বাসা থেকে বের হইলাম। যথারীতি বাঁশ স্টপে গিয়ে ছালছাবিল পরিবহনে উঠলাম। পিছিনের দিকে বামপাশে জানালার পাশে সিট নিয়ে বসলাম। বাস ছাড়তে দেরি হচ্ছিল টাই বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে গরম মুক্ত হতে চাচ্ছিলাম...

আস্তে আস্তে বাসের সীট গুলো ভরে উঠতে লাগল। বাস ছারবে এমন সময় একটা মেয়ে আসল তাড়াহুড়ো করে সাথে খুব সম্ভবত তার ভাই। ভাই এসে বাসের হেল্পার কে ৪০ টাকা ভাড়া পরিশোধ করল এবং বলল কোন একটা স্থানে নামায় দেয়ার জন্য... আমি মনে মনে চিন্তা করতেছি কত দায়িত্ববান ভাই... মেয়েটাও খুব শান্ত ভাবে বাসে উঠে সামনের সিটে বসল... ভাবলাম আহা যেমন ভাই তেমন বোন... খালি পোশাকটাই একটু... সমস্যা...

যাহোক মেয়েটার একটু বর্ণনা দেই... বয়স ১৭-১৮ হবে... লম্বায় ৫ ফুটের মত হবে... শ্যামলা গায়ের রং... দুর্দান্ত ফিগার ... জিন্সের টাইট একটা প্যান্ট পরা... কামিজ টাও অনেক টাইট... কোন প্রকার কষ্ট ছারাই বাসের সকল পুরুষ চোখ গুলো তাকে অনবরত ধর্ষণ করছিল... পাতলা একটা উরনা কোন মতে গলায় প্যাঁচানো (মনে হচ্ছে পড়ার ইচ্ছা নাই)... মাথায় মাঝারী আকারে স্রেইট করা চুল... সোজা কথা খুব আকর্ষণীয় মেয়ে...

যাহোক বাস ছারল... খুব বেশি হলে ৫ মিনিট হয়েছে । হটাত দেখলাম মেয়ে টা সামনের সিট উঠে পিছনে আসতেছে... আমি একটু বিচলিত হলাম কারণ আমার পাশের সিট ছাড়া অন্য কোন সিট নাই... মনে মনে ভাবতেছই এই মেয়ে আমার পাশে বসলে আমার অতি আরামের আজকের বাসের ঘুম ও শেষ রাতের ঘুম ও শেষ

খোদা এই যাত্রা রক্ষা করলেন... আমার পাশের সিটে এসেই ঝাড়ি এই সর বসতে দে... অতপর আমি তাহার এতক্ষন শান্ত থাকার কারণ বুজিতে পারলাম... এবং কিছু টা অবাক হলাম বৈকি... কি ধারণা করলাম কি হইল... আমার অবাক হওয়ার রেশ না কাটতেই মেয়ে টা আবার উঠে দাঁড়াল... ততক্ষনে সামনের স্টপেজ থেকে আসল হিরো বাসে উঠেছে... মেয়ে টা সামনে এগিয়ে গেল নেক্সট স্টপেজে তার বন্ধুদের বাই টাই দিয়ে হিরোর সাথে নেমে গেল... আমার কাছে কাহিনী ততক্ষনে পরিষ্কার... ভাবলাম প্রেমিক প্রেমিকা দেখা করবে টাই এত নাটক...

কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সেই জুটি একটা CNG স্কুটার ভাড়া করে টাতে উঠে পড়ল... এবং ঢাকার দিকে যাত্রা করল... তারপর ...... কি হলো যাদের বুদ্ধি আছে বুজে নেয়া উচিৎ...

যারা বুজেন নাই তাদের বলছি সেই পুরোনো গল্প... CNG র নেটে ঘেরা খাঁচায় উদ্দাম যৌবনের চাহিদা মেটাতে তারা হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই জড়াজড়ি, চাপাচাপি, টিপাটিপি, চুমাচুমি সহ অনেক আধুনিক বেহায়া করবে... যা আমরা ঢাকার রাস্তায় ন্যমিত দেখে থাকি...

হয়তো তার দায়িত্ববান ভাইটি ভাবছে তার বোন নিরাপদে পৌছাতে পারবে তো... কোন সমস্যা হচ্ছে না তো... সে চিন্তায় অস্থির থাকবে ... আর তার আদরের বোন টি হয়তো নেটে ঘেরা টেক্সিতে স্বেচ্ছা ধর্ষণ হচ্ছে তাও আবার আনন্দ চিত্তে... এই ণোংরামী বেহায়াপনার শেষ কোথায়...

বিঃদ্রঃ কিছু অশ্লিল শব্দ অনিচ্ছাকৃত ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে সত্য ঘটনা টি তুলে ধরার জন্য... আমি সকলের কাছে ক্ষমা প্রাথী...