এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

জয় বাংলা... বাংলার জয়...১৬ কোটি বাঙ্গালীর জয়...

"...১৯৭১ এর ১৬ই ডিসেম্বর...সারাদেশের মানুষ আনন্দে উদ্বেল... বুকে স্বজন হারানোর ব্যাথা তারপর মুখে হাসি... চোখে বিজয়ের অশ্রু... "

আজ আবার ফিরে এল সেই ৭১... আজ ঘোষিত হল মানুষের প্রানের মামলার রায়...  শেষ হল ৪২ বছরের অপেক্ষা... রেসকোর্স ফিরে এল শাহাবাগে... সেই আগের মতই সবাই সবাই কে বুকে জড়িয়ে উল্লাস করছে... চোখে বিজয়ের অশ্রু...

আমি ৭১ এ ছিলাম না কারণ আমার তখনো জন্মই হয়নি। তবু বুকে ধারণ করি ৭১। সেই চেতনা ৭১ এর চেতনা। অনেকেই বলে ৭১ এ তোমার কেঊ মারা গেছে তুমি কেন ৭১ নিয়ে লাফালাফি কর। আমার কোন স্বজন হয়তো ৭১ এ হারিয়ে যায়নি তবে যারা নির্মম ভাবে নিহত হয়েছিল তারা কি বাঙ্গালী নয়... তারা বাঙ্গালী আমি বাঙ্গালী... আমরা কি তবে ভাই নই... হ্যা তারাই আমার স্বজন তারাই আমার ভাই... আমার ভাই এর সাথে যদি সম্পর্ক হয় রক্তের তবে ৭১ শহীদরা আমারে আত্মার ভাই... নিযাতিত মায়েরা আমার মা... বোনেরা আমার বোন...

৭১ এর যারা শহীদ হয়েছেন নির্যাতিত হয়েছেন তাদের ঋণ এ জাতি কোণদিন শোধ করতে পারবে না। তারপরও আমরা ঋণ বাড়াতে চাই না আর...
আমরা এবার ঋণ পরিশোধ করবই... আমি নব মুক্তিযোদ্ধা... আমি নব প্রজন্মের প্রতিনিধি...  আমি শাহাবাগী...

আজ ঘোষিত হোল বিখ্যাত সেই রায় যা ছিল আমাদের প্রানের দাবি... যা ছিল শহীদের রক্তের দাবি... আজ তা কিছুটা হলেও পরিশোধ হল...  আজ আমি আমার সৃতি তে খুজে পাচ্ছি সেই ৭১ সাল সেই ১৬ই ডিসেম্বর...

আজ হরতালের কারনে আমি বিজয় মিছিলে যেতে পারি নাই... তবু আমি আজ আনন্দে উদ্বেল... কারণ এ জয় ১৬ কোটি বাঙ্গালীর জয়...


ফাঁসি ফাঁসি চাই রাজাকারের ফাঁসি চাই... জয় বাংলা... জয় বাংলা...
তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা...
রাজাকারের ঠিকানা পাকিস্তান আর ফাঁসিসিখানা...

 জয় বাঙ্গালী জয় ... জয় ১৬ কোটি মানুষের জয়...

সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

মানব মন, মানব দেহ, মানব চাহিদা...

মানুষের মন, দেহ এবং চাহিদা সব এমন ভাবে জুড়ে থাকে যেমন ভাবে জুড়ে থাকে গাছ মাটির সাথে। মাটি ছাড়া কোন গাছ বেঁচে থাকতে পারে না তেমনি মনের চাহিদা পুরন না হলে মানুষের দেহ মন কোন টাই ঠিক থাকে না। মন আর দেহ কে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই... আজকের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কথা বলব...

আসেপাশে একটু তাকান, একটু ভালো করে লক্ষ করুন, আমাদের তরুন-তরুনী ভাই বোনদের দেখুন... কি বলতে চাইছি বুজতে পেরেছেন না বুজে থাকলে নিচের কেস স্টাডি গুলো পড়ুনঃ

কেসস্টাডি - ১ঃ  সেদিন উত্তরা তে বাসের জন্য দারিয়ে ছিলাম। হটাত একটা সিএনজি এসে থামল। প্রথমে একটা ছেলে নামল বয়স ২২-২৪ হবে। সে ইচ্ছে করেই ভাড়া দিতে দেরি করছিল। কৌতুহল বশত ভিতরে তাকালাম... দেখলাম মেয়েটি টেনে টেনে জামার ভাঁজ ঠিক করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে... আমার বুঝার বাকি রইল না ভিতরে এতক্ষন প্রেমের নামে কি চলছিল... আপনাদেরও নিশ্চয় প্রায়ই এসব অপ্রিতিকর দৃশ্য দেখতে হয় এখানে সেখানে...

কেসস্টাডি - ২ঃ আমাদের একজন ভালো বন্ধু আছে। ধরুন নাম শাকিল। বেশ ভালো ছাত্র। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত তার রেজাল্ট যাচ্ছে তাই... কাছে বন্ধু তাই মন থেকে খুলে বলল কথা গুলো।
ওর সমস্যা হচ্ছে... ওর সেক্স এর চাহিদা অনেক বেশী... দিনের বেসির ভাগ সময়ই কাটে তার এসব চিন্তা করে... শত চেষ্টাতেও সে পারেনি তার মন কে ঠিক করতে... সে অনেক ধার্মিক তাই কোন অবৈধ সম্পর্কেও যেতে পারছে না... বাসায় অনেক সাহস করে বলেছিল বিয়ের কথা উল্টো ঝাড়ি খেতে হয়েছে... এসব কারণেই তার যোগ্যতা থাকা সত্তেও সে ভালো কিছু করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে... হারিয়ে যাচ্ছে নিজের উপর বিশ্বাস।

কেসস্টাডি - ৩ঃ আমাদের পরিচিত এক ছোট ভাই। বয়স কম হলে কি হবে ভীষণ স্মার্ট। মেয়ে পটানো তার জন্য কন ব্যাপার ই না। তার বয়স মাত্র ২০ কিন্তু এর মধেই সে ১০ টা মেয়ের সাথে প্রেম করেছে। এবং সবার সাথেই তার দেহিক সম্পর্ক হয়েছে। তাকে বললাম এগুলা ভালো না ছেড়ে দাও। সেও সেই এক ই কথা ভাই বিয়ের পর ছেড়ে দিব...

কেসস্টাডি - ৪ঃ  মেয়েটা অনেক সুন্দরী... যে কেঊ পছন্দ করবে... অনেক ভালো যায়গা থেকে প্রস্তাব এসেছে... কিন্তু বাবা-মায়ের এক্টাই কথা মেয়ে কে ডাক্তার না বানিয়ে বিয়ে দিবেন না... মেয়েটি যৌবন ক্ষুধা মেটাতে বেছে নিয়েছে ফোন সেক্সের পথ... কারণ বাবা মার চোখের সামনে তার পক্ষে এর চেয়ে বেশী কিছু করার সুযোগ নেই... আমাদের এদিকে একটা মেয়ে কাহিনি মনে পড়ল। সেই মেয়ে নিজেকে সামলাতে না পেড়ে বন্ধ ঘড়ে 7up এর বোতল দিয়ে সেক্সের চেষ্টা করে আহত হয়েছিল...

কেসস্টাডি - ৫ঃ আজকাল অনলাইনের সেক্স অনেক পরিচিত। আমার পরিচিত অনেক কেই চিনি যারা প্রেম করে সেক্স করতে সাহস পাচ্ছেন না কিন্তু অনলাইনে এক বা একাধিক মেয়ের সাথে প্রেমের নামে ক্যাম সেক্স করছেন। ভিডিও অয়েব সাইট গুলোতে গেলে আপনি দেখবেন এসন ভিডিও এর ছড়াছড়ি।

 এখন আসল কথায় আসি কেন হচ্ছে এবং এর প্রতিকার কি? আমি জানি আমার কথা পড়ে সবাই মাথা নারবেন ঠিকই বলছে কিন্তু নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করার চেস্টাও করবেন না। কারণ আপনার সমাজের সাধারন নিয়মের বাইরে কিছু করার সাহস বা সদিচ্ছা কোনটাই নেই।

এত সমস্যার সমাধান একটাই বিয়ে... কিন্তু কখন বিয়ে এটা নিধারন নিয়েই আমার কথা... আমাদের ইসলাম ধর্মে বালেগ হবার পর দ্রুত বিয়ের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজে এটার ধারে কাছেও কেউ নাই। আপনি হয়তো বলবেন দেশের আইন আমান্য করে কিছু করা সম্ভব  না। কিন্তু আমি বলব আইন কাদের জন্য। আইন তো আমাদের মানুষের জন্যিই। এখন আমাদের তরুন প্রজন্ম যদি এই সামান্য মোলিক চাহিদার কারনে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আপনি আইন দিয়ে কি করবেন। আর যে ছেলে বা মেয়ে চরিত্র নষ্ট হয়ে গেছে তার কাছ থেকে আপনি ভালো কিছু আসা করতে পারেন না।

আপনি হয়তো বলবেন ছেলেদের ইনকাম নাই বউ পালবে কি করে। আমার কথা হল আপনাকে কে পালতেছে আল্লাহ নাকি আপনার মা-বাপ। আল্লাহ যদি আপনার পুরা ফ্যামিলি পালতে পারে সেখানে একজন মানুষ বাড়লে তাকে পালা কি আল্লাহর জন্য অসাধ্য ব্যাপার। এসব কথা রাখেন। এখনো সময় আছে আপনার ভাই কে আপনার বোন কে বাঁচান।

আজকাল একটা ছেলের বিয়ে করতে করতে ৩০-৩২ বছর হয়ে যায়। ততদিন তার যৌবন এর অর্ধেক শেষ। আমার চারদিকে যত ছেলে দেখি তার ৯০ ভাগ হারাম কাজ করে ফেলেছে। এর দায়িত্ব কে নিবে। আমার কথা হচ্ছে আমারা যদি ১৮ বছরে ভোট দিতে পারি তবে বিয়ে কেন ৩১ বছরে করতে হবে। এই আইন কি সংশোধন করা যায় না।
 বলুন তো এই আইন কেন হয়েছে। এই আইন খ্রিস্টানদের করা। কারণ তারা চায় না মুসলিম সংখ্যায় বেড়ে যাক। আর আমরা তাদের বানানো আইন কে ধ্যান জ্ঞান বানায় ফেলছি।

এখনও সময় আছে আসুন আমরা সচেতন হই। আমাদের সমাজের মানুষ কে সচেতন করি। পরবর্তী প্রজন্ম কে উপহার দেই সুস্থ সমাজ ভালো পরিবার। বিয়ের বয়স কমায় দিই এমনিতেই খারাপ কাজ গুলো কমে যাবে... আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি... আসুন দ্রুত বিয়ে করি সুন্দর সমাজ গড়ি...


বল্গারঃ কাউন্টার এট্যাক...






































রবিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

বাংলাদেশের মেয়েদের A to Z....

কি ভাই আপনি কি খুব দ্রুত বিয়ে করার কথা ভাবছেন... ভালো কথা বিয়ে যখন করবেনই তাহলে জেনে নিন কোন জেলার মেয়ে রা কেমন?
কোন জেলার মাইয়া বিয়া করবেন ??? খুইজা পছন্দ মতো মিলাইয়া নেন । কমেন্ট এ না করলে কইলাম খবর আসে। 
 ১। যশোর-খুলনার মেয়েরা অনেক সুন্দরী। যশোরের মেয়েরা কুটনামিতে খুব ওস্তাদ হয়, প্রচুর মিথ্যা কথা বলে। আর শ্বশুরবাড়ীর লোকজন সহ্যই করতে পারেনা। পরকিয়াতেও ওস্তাদ যশোরের মেয়েরা।

২।চট্টগ্রামের মেয়েরা বাইরের জেলাদের ছেলেদের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। কিছুটা কনজারভেটিভ।

৩।সিলেটী মেয়েরা পর্দানশীল বেশী। সিলেটি মেয়েরা সাধারণত বাইরের জেলা তে বিয়ে করতে যায় না। আত্মীয়দের মধ্যে থাকতে পছন্দ করে।সিলেটি মেয়েরা ছ্যাচড়া।

৪।পুরার ঢাকার মেয়েরা খুবই দিলখোশ। ঢাকার অন্য এলাকার মেয়েরা জগাখিচুরি

৫।খুলনার মেয়েরা স্বামী অন্ত প্রাণ। খুলনার মেয়েরা নাকি ফ্যামিলির ব্যাপারে একটু সিরিয়াস টাইপের হয়

৬।উত্তর বঙের মেয়েরা কোমলমতী হয় এবং বেকুব ও আনক্রিয়েটিভ ।

৭।বরিশালের মেয়েরা একটু ঝগড়াটে, ভালো রাঁধুনী, ন্যাচালার সুন্দরী , সংসারী এবং স্বামীভক্ত। কিন্তু বরিশাল থেকে সাবধান, যতই সুন্দর হোক, জীবন বরবাদ করে দেবে।

৮।ময়মনসিংহের মেয়েরা একটু বোকাসোকা, কেউবা বদমাইশ।কেউ কেউ স্মার্ট এবং ডেয়ারিং।

৯। সিরাজগন্জের মেয়েরা ভালো, যদি শান্তিতে ঘর করতে চান।

১০। বগুড়ার মেয়েরা ঝাল। পর্দা বলতে এদের কিছু নাই। বিয়ের পর কোন কিছু কম পাইলে ব্লগার এর কোন দোষ নাই।

১১। কুষ্টিয়ার মেয়েরা অহংকারী, কিন্তু সেই তুলনায় গুনবতী নয়। মননশীল, রুচিসম্পন্ন। যাকে ভালবাসে সত্যিকারের ভালবাসে, কোন রাখঢাক নাই। মুখের ভাষা খুব এ শুদ্ধ। শুনলে শুধু শুনতেই মনে চাইবে।

১২।বি বাড়িয়ার মেয়েরা পলটিবাজ কিন্তু পতিভক্ত ও সংসারী। অনেক মিশুক ।
 
১৩। রাজশাহীর মেয়েরা একটু লাজুক ।

১৪।পাবনার মেয়েরা কুটনা হয়ে থাকে।

১৫। জামালপুরের মেয়েরা বেশি স্মার্ট এবং ডেয়ারিং।এই জেলায় সুন্দরীদের ঘনত্ব বেশি।

১৬।নোয়াখালী: বাবা-মা অথবা আত্মীয়-স্বজনদেরকে ভুলতে চাইলে নোয়াখালীর মেয়েদের তুলনা নেই । বেশির ভাগ মেয়ে কারো কথার নিছে থাকতে চায়না। এরা চরম কুটনা হয়। তবে তারা শশুড়বাড়ির জন্য করতে চাইলে নিজের সব দিয়ে করে, না করলে নাই!

১৭। ফরিদপুরের মেয়েরা চোরা স্বভাবের।ওদের মত কুটিল প্যাচের মানুষ খুব কমই হয়।

১৮।কুমিল্লার মেয়েরা শ্বশুরবাড়ির মানুষদের পছন্দ করেনা।কুমিল্লার মেয়েরা সুন্দরী, অনেক দায়িত্বশীল, তবে সংসারে প্রভাব বিস্তার করতে বেশি পছন্দ করে।

১৯।টাংগাইলের মেয়েরা খুব ভাল হয়, বান্ধুবী হিসেবেতো বটেই, পাত্রী হিসেবেও। .এ অঞ্চলের
মাইয়াগুলো দুনিয়ার বজ্জাত... তবে বান্ধবী হিসাবে ভালু..একটু দিলখোলা টাইপের।

২০।মাদারিপুরের মেয়েরা খুবই কিউট, খুব খরচে, জামাইয়ের পকেট ফাকা করতে উস্তাদ।

২১।চাঁদপুরের মেয়েরা মানুষ হিসেবে খুবই ভালো, অথিতিপরায়াণ।তাদের সরল ভালবাসায় আপনি মুগ্ধ হবেন। আর শ্বশুরবাড়ী চাঁদপুর হলে ইলিশ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না । আর আসল কথা হলো চাঁদপুরে লোকের মাথায় প্যাচ জিলাপীর থেকেও বেশী। চাদপুরের মেয়েরা ছেলে ঘুরাতে ওস্তাদ।

২২।দিনাজপুরের মেয়েরা যে খুব সুন্দরী হয়।

২৩।চাপাই নবাবগঞ্জের মানুষ সরল মনের অধিকারী।

২৪।গাজীপুরের মেয়েরা খুব ই ভাল, মিশুক এবং রসিক ।এখাঙ্কার মেয়েরা জেদী, লাজুক ,মিডিয়াম সুন্দর, মিডিয়াম স্মার্ট এবং সংস্কৃতি মনা।

২৫। নরসিংদীর মেয়েরা উড়াল পঙ্খীর মতো তাদের মন আর চলার ঢং ।

২৬।কিশোরগঞ্জের মেয়েরা একটু বোকাসোকা আর ডেয়ারিং প্রকৃতির। মিশুক, বন্ধুপাগল বা বন্ধুপ্রেমী হয়। স্বামী ভক্ত হয় তবে এমনও হতে পারে যে সারাজীবন বউয়ের.দ্বারা নিগৃহীত হওয়া; অসম্ভব কিছু না।

২৭। নারায়ণগঞ্জ এর মেয়েরা সাধারণত তারা কি চাই তারা নিজেরাও জানে না।

২৮। মুন্সিগঞ্জ এর মেয়েরা একটু প্রেম এ আগ্রহী সো ভালো কিছু পাওয়ার সম্ভহাবনা কম।
২৯। ভোলার মেয়েরা সহজ, সরল, কথা একটু বেশি বলে। প্রেম জীবনে করলে এক্টাই করে। চেহারা সুন্দর হয়। সততা খুব বেশি। 
৩০। কক্সবাজার এর মেয়েদের চেহারায় একটু চাকমা ভাব আছে... তারা মঙ্গল গ্রহের ভাষায় কথা বলে... তবে দিল পরিস্কার।

এই কথা গুলো ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলা... কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়... ভালো লাগলে শেয়ার এবং কমেন্ট করবেন প্লিজ...

শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

----- দুরন্ত পরাজয় এবং একজন সম্ভাবনাময় খেলোয়ার এর ক্যারিয়ার এর অপমৃত্যু-------

 
সবাই বলে আমি নাকি অস্থির... আমিও নিজেও সেটা অস্বীকার করি না... আমি সব জায়গা তেই নেতৃত্ব দেই... এলাকার খেলাধুলাতেও ছিল আমার নেতৃত্ব। আমাদের গ্রামের নাম অনুসারে আমাদের একটা ক্লাব আছে নাম নলজানী বয়েজ ক্লাব। আমাদের ক্লাব এর মূল কাজ হচ্ছে সামাজিক উন্নয়ন ও খেলাধুলা। শুরু থেকেই সর্ব ক্ষেত্রে আমার ক্লাব ছিল অত্যান্ত সফল। তখন ২০০৪ সাল আমাদের ক্রিকেট দল ছিল অত্র এলাকার দুরন্ত একদল। আমরা মাঠে নামলেই জয় নিশ্চিত এমন একটা কথা প্রচলিত হয়ে গিয়েছিল। তো জয়ের স্মৃতি বললে রাত ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু আজ আমি বলব দুরন্ত এক ম্যাচ এর কথা দুরন্ত এক পরাজয় এর কথা। অনেকেই বলবে পরাজয় সে আবার দুরন্ত হয় কি করে। কিন্তু মজাটা তো সেখানেই।
তো মুল কথায় আসি, একদিন বিকেল এ আমরা মাঠে খেলছিলাম। আমাদের পাশেই এলাকার মেয়েরাও খেলছিল। মেয়েদের মধ্যে আমাদের বোন বান্ধুবী সবাই ছিল। তো আমরা দুষ্টামি করে ওদের দিকে বল মারছিলাম। তো হটাত দেখলাম ওরা কি যেন আলোচনা করতেছে। তো লিজা আপু ওদের লিডার ছিল। তিনি এসে আমাদের ক্রিকেট ম্যাচ খেলার চ্যালেঞ্জ দিয়ে বসলেন। তার কথা শুনে আমরা তো হাসতে হাসতে শেষ। যাহোক আমরা ভাবলাম দেই আজ ওদের একটা চূড়ান্ত লজ্জা। খেলার শর্ত হচ্ছে যারা জিতবে তারা মাঠে খেলবে।
যথারীতি টচ হলো মেয়েরা ব্যাটিং নিল। ১০ ওভার এর খেলায় ওরা ৪৫ রান করল যা আমাদের বোলার রাই করতে পারে... তারপর আমাদের ব্যাটিং... প্রথম ওভার এ আশ্চর্য হলেও সত্য আমাদের বিপক্ষে মেয়েদের ফাস্ট বোলার (হাস্যকর বোলিং বলার অপেক্ষা রাখে না) হ্যাট্রিক সহ ম্যাডেন ওভার নিল। আমরা তো পুরা বেকুব হবার পথে। যাই হোক এটা আপসেট ধরে নিয়ে আমি( দলের সেরা ব্যাটসম্যান) ব্যাট হাতে নামলাম। যাই হোক বোলিং প্রান্তে বোলার দেখে তো আমার ভাব গেল আরও বেড়ে (বোলার এর প্রতি আমার প্রেম নামক দুর্বলতা ছিল) । যাই হোক আমি তার প্রথম বলেই উড়িয়ে মেড়ে দিলাম ছক্কা। সবাই ধরে নিল ম্যাচ আমাদের জয় এখন সময় এর অপেক্ষা। কেউ কেউ তো বলল দোস্ত এ ওভার এই খেলা শেষ করে ফেল। ততখনে দেখি তার মুখ লাল হয়ে গেছে লজ্জায়। কি আর করা খেলা তো খেলাই। পরের বল করল খুব সাভাবিক মোয়া বল... আমিও ত পা এগিয়ে গিয়ে চোখ বন্ধ করে জোরে শট নিলাম... টাস করে একটা শব্দ হল... মাথা ঘুড়িয়ে দেখি মিডল স্ট্যাম্প উলটে পড়ে আছে। ততক্ষণে তাহার উল্লাস বাঁধ ভেঙ্গেছে... তার হাসি খুব ভালো লাগত কিন্তু সেদিন আর হাসি দেখার দুরন্ত সাহস হয়। তার পরের ওভার গুলো যা হবার তাই হলো... আমার দল ১০রান এ ৫ ওভার এ অলআঊট।
পূর্ব শর্তানুযায়ী আমরা মাঠ ছেড়ে দিলাম... আমাদের দলের কেউ পরবর্তী ১ সপ্তাহ মাঠে যায়নি। আর আমি আজও মাঠে যায়নি... এই ম্যাচ এর মধ্যে দিয়ে আমার খেলোয়াড় জীবনের সমাপ্তি হয়... আর কখনো ব্যাট হাতে নেই নাই...তার পর অনেকেই বলেছে কিরে খেলিশ না কেন আমি বলেছি ইঞ্জুরি ডাক্তার না করছে
আসল কাহিনি অনেক দিন পর আজ আমার ব্লগে লিখলাম...