এই ব্লগটি সন্ধান করুন

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৩

অন্তত উভয় দল যেন কোন রাজনৈতিক দলের """" আইটেম সং """" না হয়........

অন্তত উভয় দল যেন কোন রাজনৈতিক দলের """" আইটেম সং """" না হয়........


বাংলাদেশের মানুষ সারা জীবন ই দুইভাগ অথবা চার ভাগে বিভক্ত হওয়া পছন্দ করে... আমি ভালোর পক্ষে খারাপ এর বিপক্ষে কথা বলি তাই আমি উভয়দলের লোকদের কাছেই খারাপ... আর এই খারাপ হওয়াটাই আমার লেখার সার্থকতা...

আজকে কিছু কথা লেখব বর্তমান দেশের পরিস্তিতি নিয়ে... আমি রাজনীতিক না তবে রাজনীতি কিছু হলেও বুঝি। অপরাজনৈতিক চাল গুলাও বুঝি...

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের দুইটা বিপ্লবী সমাবেশ এর উদ্দেশ্য কে আমি ব্যাপক সমর্থন করি।
শাহাবাগের মূল দাবি অর্থাৎ রাজাকারদের ফাঁসির দাবির সাথে আমি প্রথম থেকেই সহমত পোষন করেছি... শাহাবাগের পক্ষে অনলাইনে প্রচারনা করেছি... মানুষের সাথে বিতর্ক করেছি... ফলশ্রুতি তে ব্যাপক গালি এবং ব্লক ও খেয়েছি... প্রথম দিকে শাহাবাগ ছিল জনগণের দাবি অরাজনৈতিক সমাবেশ মানুষের প্রানের সমাবেশ... মনের টানেই মানুষ সেখানে গেছে... দাবির সাথে একাত্ম হয়ে দাবি জানিয়েছে ফাঁসির... তারপর আসল নাস্তিক ইস্যু... শাহাবাগ চত্বর হয়ে গেল নাস্তিক চত্বর... অনেকেই ভাবল তারা ভুল করেছে...তারা সরে দাড়াল... আমিও তখনো সরে না দাঁড়ালেও চুপ হয়ে গেলাম... কারণ একটাই আমি রাজাকারের যেমন ফাঁসি চাই তেমনি নাস্তিকদেরও শাস্তি চাই...
কালান্তরে শাহাবাগ চত্বর হয়ে গেল নাস্তিক চত্বর তারপর সেটা এখন আওয়ামী চত্বর এ পরিনত হল... বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এখানে চান্স নিতে চাইল কিন্তু পারল না তারা এর চরম বিরোধিতা শুরু করল... প্রথমে সমর্থন দিয়ে পড়ে বিরোধিতা করা ভণ্ডামির নামান্তর... যা একমাত্র রাজনিতিকদের পক্ষেই সম্ভব...
আমিও শাহাবাগের কার্যক্রমের বিরোধী সব সময়ই ছিলাম কিন্তু তাদের মূল দাবির সাথে আমি আজও একমত...

অন্যদিকে নুতুন আয়োজন নিয়ে আসল "হেফাজতে ইসলাম" । অনেকেই তাদের হেফাজতে জামায়াত বলে থাকেন... আমি তাদের মনের ভিতর ঘুরে আসিনি তাই তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য বলতে পারব না... তাদের আয়োজনের শুরু থেকেই বলা হচ্ছে তারা জামায়েত নয়... যাই হোক এমন কথা শাহাবাগ থেকেও একসময় বলা হোত। কথা সেটা না আসল কথায় আসি।

আমার দৃষ্টিতে হেফাজতে ইসলাম চমৎকার আইডিয়া এবং প্লান নিয়ে মাঠে নেমেছে... তাদের উদ্দেশ্য ও অত্যান্ত মহৎ। আমি তাদের ১৩ দফার সাথে একমত... যা সত্যিকার অর্থেই আমাদের জন্য জরুরী... তারা যদি এগুলা বাস্তবায়ন করতে পারে টা অবশ্যই আমাদের দেশের জন্য মঙ্গলজনক...

কিন্তু এখানেও সেই পুরোনো সমস্যা... আওমিলীগ চেষ্টা করল হেফাজত কে হাতে নেয়ার... তারা ব্যর্থ হল... সেখানে বিএনপি মোটামুটি সফল... তারা হেফাজত কে হাত করতে না পারলেও তাদের সাথে কাজ করে বলা যায় তাদের চামচামি করে মন জয় করে নিয়েছে... যদিও ১৩ দফা বাস্তবায়িত হলে বিএনপি নামক দলটির মূল নেত্রীসহ অদিকাংশ নেতা কর্মীকে গৃহে চলে যেতে হবে... এসব জানার পরও যখন তারা হাফাজতের সাথে কাজ করছে তখন স্বাভাবিক ভাবেই আমার মনে প্রস্ন আসল " আচ্ছা হেফাজত কি তবে বিএনপির রাজনৈতিক চাল?"
আমার ধারণা এখনও সত্য হয়নি তবে হবে না এটাও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না... হেফাজতে ইসলামের পরিনতি কি শেষ পর্যন্ত সাহাবাগের মত হয় কিনা টা দেখার অপেক্ষায় আছি... যদিও মন থেকে চাই হেফাজত সফল হোক...

সবশেষে একটাই মন বাসনা... " শাহাবাগ যেন নাস্তিক মুক্ত হয় আর হেফাজত হোক ধর্ম ব্যবসায়ী মুক্ত"

অন্তত উভয় দল যেন কোন রাজনৈতিক দলের """" আইটেম সং """" না হয়.........

 

শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৩

Revolution নাকি Evolution কোনটা জরুরী বাংলাদেশের জন্য?

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে কিছু কথা বলি... আশা করি কথা গুলো আপনাদের কে উপকৃত করবে...

বর্তমানে অন্যতম ইসলামী নামধারী রাজনৈতিক দল হচ্ছে "শিবির"। যারা চাচ্ছে দেশে ইসলামী শাসন কায়েম করতে। নিঃসন্দেহে তাদের উদ্যোগ ভালো...কিন্তু প্রশংসা পাবার যোগ্য নয়।
তারা আসলে কি চায়... তারা চায় "Revolution" অর্থাৎ বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে ইসলামের আইন প্রতিষ্টা...  বিপ্লব মানেই হচ্ছে ধর-মার কাট... কিন্তু কথা হচ্ছে আমাদের দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ কি চায়... আমরা যদি ধরিমারিকাটি তবে কাকে ধরব, কাকে মারব কাকে কাটব সেটা আমাদের আগে ভাবতে হবে... আমি যদি বিপ্লব বেছে নেই সে বিপ্লব ৯০% মুসলিম এর দেশে কোন অমুসলিম এর বিরুদ্ধে হবে সেটা ভাবা নিতান্তই হাস্যকর...  তাহলে মুসলিম মুসলিম এর বিরুদ্ধে বিপ্লব করবে তাতে ফলাফল কি হবে শত শত লাশ পরবে এবং যারা মারা যাবে তাদের ৯৯% ই হবে মুসলিম... ক্ষতি কার হচ্ছে... আপনি শিবির হন আপনি লিগ হন বা আপনি দলেরই হন আপনার পরিচয় "আপনি মুসলিম"... একজন মুসলিম অপর মুসলিম কে হত্যা করবে এ কেমন কথা...

অন্যদিকে অন্যতম অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হচ্ছে "তাবলীগ"... প্রথমেই বলে রাখি তাবলীগ কে আওমীলিগের অঙ্গসগঠন ভেবে ভূল করবেন না... তাবলীগ কি চায় সেটা আপনাকে বুজতে হবে... তাবলীগ চায় "evolution"... অর্থাৎ মানুষকে বুজিয়ে শুনিয়ে দাওয়াতের মাধ্যমে ইসলাম কায়েম করা... সে অর্থে বলা যায় তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ যা কিনা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে প্রমানিত... তাবলীগের কোন এখন পর্যন্ত মানুষের জন্য ক্ষতিকর এমন কোন ঘটনা পাওয়া যায়নি... তবে তাবলীগ কাজ অনেক সময় সাপেক্ষ... এবং ভালো কাজের জন্য একটু বেশি সময় লাগেই... তাবলীগ মানুষের ইমান নিয়ে কাজ করে... এখানে সবাই নিজেদের ইমান সংশোধনে ব্যস্ত... আর এভাবে একজন একজন মানুষ করে যদি দেশের অদিকাংশ মানুষ ইমানদার হয়ে যায় সেটা কি খুন খারাবী থেকে উত্তম নয়... শান্তিপূর্ণ উপায়ে যদি ইসলাম আসে... মেয়েরা পরদাশীল হয়ে যায় সেটা কি উত্তম নয়...

একখন ফেসবুকীয় জাতির কাছে আমার প্রশ্ন আপনারা কোনটা  চান... Revolution নাকি evolution.... জাতির বিবেকের কাছে আমার প্রশ্নার......

এবার সিধান্ত আপনার...

শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৩

আমরা নামে মুসলিম কিন্তু আমরা আসলেই কি মুসলিম... চলুন এটা নিয়ে একটু আলোচনা করি...

আমরা নামে মুসলিম কিন্তু আমরা আসলেই কি মুসলিম... চলুন এটা নিয়ে একটু আলোচনা করি...
* আমরা মুসলিম কিন্তু শুধু শুক্রবারে জুম্মা নামাজ পরি... তবে কি আমাদের জন্য অন্য নামাজ ফরজ নয়...
* আমরা মুসলিম কিন্তু হরতালে আমরা গাড়ি ভাঙ্গি আগুনে পুরিয়ে মানুষ মারি... ইসলাম শান্তির ধর্ম... আমরা যদি মুসলিম হই তবে এসব কি আমাদের জন্য হারাম ণয়...
* আমরা মুসলিম কিন্তু সকাল বেলা ক্লিন শেভ করি...আমরা কম বেশি সবাই জানি দাড়ি রাখা সুন্নত ... তবে কি দাড়ি না রাখলেও আমরা পূর্ণ মুসলিম...
* আমরা পুলিশদের মাথা থেঁতলে দেই কারণ তারা চাকরির বাঁচাতে দায়িত্ব পালনে রত কিন্তু সেও হয়তো একজন মুসলিম... একজন মুসলিম এর মাথা থেঁতলে দিয়েও কি আমি মুসলিম...
* আমরা শহীদ হতে সদা প্রস্তুত... কিন্তু ফজরের নামাজে যেতে আমাদের অনেক কষ্ট... ফজরের নামাজ পরতে এত কষ্ট হলে শহীদ হবার কস্ট সহ্য করতে পারব তো... নাকি জান বাঁচাতে পালাব...
* আমরা মুসলিম আমরা হিন্দি গান শুনতে বড় ভালোবাসি কিন্ত কোরআন তেলাওয়াত করার সময় পাই না...
* আমরা মুসলিম কিন্তু নিজেকে ভাবি জন আব্রাহাম, ক্যাটরিনা... কাঊ কে আজও পেলাম না যে নিজেকে উমর(রাঃ) কিংবা আলী (রাঃ)... তবে আমরা কিসের মুসলিম...
* আমরা তাবলীগে যেতে সময়ের অপচয় মনে করি... কিন্তু বন্ধুবান্ধুবী নিয়ে ৫ দিনের ট্যুরে চলে যাই তখন সময় নষ্ট হয় না...
*আমরা জানি নারী নেতৃত্ব হারাম জানি তাও দুই নারীর জন্য জীবন দিয়ে দেই তবে কি আমরা মুসলিম...
* পর্দার কথা আর নাই বললাম...

এমনো হাজার সমস্যা আমাদের আছে তারপর আমরা নিজেদের মুসলিম দাবি করি... ইসলামের নামে বড় বড় কথা বলি... আরে আগে নিজে ভালো হন পড়ে মানুষ রে বলেন... কাজে দিবে..... আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুন... আমিন...

শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৩

টর্নেডো বিধস্ত জনপদের কান্না .........

গাছ উপরে পড়ে আছে রাস্তায়... চার দিকে কোন গাছে কোন পাতা নেই... ঘরবাড়ি দুমড়ে মুচরে রয়েছে যেন স্তুপাকার নর্দমা... মানুষের গায়ে নেই কাপ্র...পেটে নেই ভাত...মুখে নেই হাসি... আছে শুধু কান্না...আছে শুধুই হাহাকার... আছে অপরিসীম অভাব আর অভাব...


আমি কোন যুদ্ধ বিধস্ত নগরীর কথা বলছি না... আমি বলছি গত ২২ মার্চ ঘটে যাওয়া টর্নেডো তোপে গুরিয়ে যাওয়া বিধস্ত এক জনপদের কথা... ধ্বংস হয়ে যাওয়া স্বপের ভাগার এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিনটি উপজেলা। আজ আপনাদের আমি বলব সেই ধ্বংস স্তূপে স্বপ্নের ধ্বংসাবশেষ খোজা মানুষের গল্প।
বলব মানুষের কষ্টের কথা... মানুষের হতাশার কথা...

গতকাল আমি গিয়েছিলাম সেই এলাকা তে আমার সামথ্য অনুযায়ী কিছু সাহায্য করতে। আমার ধারণা ছিল যার তার চেয়ে এত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ছিল সেই এলাকা যা ভাষায় প্রকাশ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি যে সাহায্য নিয়ে গিয়েছিলাম টা ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় কিছুই না। মানুষের কষ্ট দেখে আমার মত কঠিন হৃদয়ের মানুষেরও কাঁদতে একমুহূর্ত দেরি হয়নি...

বাসুদেব এলাকার একটি পরিবারে ৬ জন মারা যান সেই দিন জন আজও হাসপাতালে... ঘরে খাবার নেই... পানি নেই...থাকতে হচ্ছে তাবু তে... হচ্ছে বৃষ্টি বিজতে হচ্ছে তাতে... ঠাণ্ডা বাতাস থেকে বাঁচতে নেই কোন কাপড়... চার দিকে শুধু কষ্ট আর কষ্ট... কাঁদতে কাঁদতে মানুষের কান্নার জল সুকিয়ে গেছে... কান্না এখন শব্দ হয় না... থাকে শুধুই দীর্ঘশ্বাস... মানুসের কস্তে এলাকার পরিবেশ হয়ে গেছে ভারি...

এমন চিত্র এখন প্রতিটি বাড়িতে... এমন কষ্ট বোধয় আর কোথাও নেই...  সেই সাথে যোগ হয়েছে এলাকার চোরের উৎপাত... বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষজন...

সেখানে এখন পর্যন্ত যে পরিমান সাহায্য গিয়েছে টা অতি সামান্য... সরকারের লোকেরা সবাই কে তাবু দিয়েছে... সেই তাবুতেই সবাই থাকে। তাবিতে থাকা যে কি কষ্টের তা যারা থাকছেন তারাই জানেন... প্রতিনিয়ত রয়েছে সাপ বিচ্ছুর ভয়... নারীদের রয়েছে সম্ভ্রম হারানোর ভয়... সমগ্র এলাকার মানুষ এখন হতাশার চুরান্তে অবস্থান করছেন...

মিডিয়া গুল সবসময় মিথ্যার ভাণ্ডার... এলাকায় খুজ নিয়ে জানা গেছে এই টর্নেডোতে কমপক্ষে ৫০০ মানুষ মারা গেছেন... আর চিকিৎসা এবং খাদ্যের অভাবে হয়ত অনেকেই মারা যাবেন...

তাই আপানাদের সকলের প্রতি আমার আকুল আবেদন চলুন দুর্গত মানুষের পাশে দাড়াই... আমরা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ যদি ১ টাকা করে দেই ১৬ কোটি টাকা হয়... সেই টাকা দিয়ে এসব মানুষের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব। আসুন একটি বার চিন্তা করি আমআর ভাগ্যেও এমন হতে পারত। যাদের এমন হয়েছে তারা আমাদের ই ভাই আমাদের ই বোন... তারাও আমাদের মত মানুষ... তারাও বাঁচতে চায়...

তাই আপনাদের প্রতি আমার মানবিক আবেদন এই যে, আপানাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে আপনারা সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ সাহাযা করুন... অর্থ না থাকলে আপনার বাসার পুরাতন কাপড় দিতে পারেন... দিতে পারেন চাল-ডাল... এছাড়াও দিতে ঔষধ...

আমার আপনাদের দেয়া সাহায্য পৌঁছে দিব দুর্গত মানুষের কাছে। একন থেকে প্রতি বৃহস্পতি বার আমরা সাহায্য নিয়ে যাব সেই সব মানুষের কাছে...


প্লিজ ভাই একটু এগিয়ে আসুন একটু সাহায্য করুন।

সাহায্য পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করুনঃ ০১৭১৭৫৬৫৩৩৯ অথবা ০১৬৮০৩১২২৭০

অথবা বিকাশ করতে পারেন ০১৭১৬০০৪০০৭ এই নামারে এ ক্ষেত্রে আপনি যে নাম্বার থেকে বিকাশ করবেন টা ০১৭১৭৫৬৫৩৩৯ এই নাম্বারে মেসেজ অথবা ফোন করে জানাবেন।


 আমরা আপনার বাড়ানো হাতটির জন্যই অপেক্ষা করছি...  প্লিজ এগিয়ে আসুন প্লিজ
..............


মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০১৩

এই যদি হয় দেশপ্রেম এই যদি হয় ধর্মীয় কাজ তাহলে দেশদ্রোহিতা আর ধর্মবিরোধিতার প্রকৃত উদাহরন কোনটি?

আজকের সকাল সুন্দর একটি সকাল... সকালে উঠেই মনে মনে ভাবলাম দিন টা আজ ভালো যাবে... প্রতিদিনের অভ্যাস অনুযায়ী পেপার নিয়ে বসলাম... পেপার খুলেই মন টাও খারাপ হয়ে গেল দিন টাও খারাপ হয়ে গেল... শিরোনাম ছিল " হরতালের নামে নাশকতা"। নিচে একটি ছবি একটি ট্রেনের ২টি বগি উল্টে পড়ে আছে। পাথরের উপর রেল লাইনের কোন চিহ্ন নেই...ছড়ানো ছিটানো কিছু স্লিপার। আহত হয়েছে ৩০ এর অধিক লোক(সরকারী হিসাব)। বেসরকারী কোন হিসাব হয় না তাহলে হয়তো আরো বেশি হত।

গত কালকের ফেসবুক এ আপডেট দেখলাম। ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়া হয়েছে এক পুলিশের। তার এমন অবস্থা যে একবার এর বেশি ২ বার তার দিকে তাকানোর সাহস হল না। চোখ বন্ধ করার আগেই প্রবাদ হিসেবে শেয়ার করলাম সেই নিউজটা...

এরও কিছুদিন আগে হরতাল চলাকালে আহত হল আমাদের ছোট্ট একটি বোন। "অন্তু বড়ুয়া" নাম তার। সে হয়তো কোনদিন এক চোখ দিয়ে দেখতেই পারবে না। মেয়ে টা হিন্দু কথা টা একটু মাথায় রাখবেন...

আরও কিছুদিন আগে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির এক ভাই উত্তরাতে আগুনে পুরে মারা গেলেন। তিনি তার বাবার সাথে বাসে করে কোথাও যাচ্ছিলেন পথে বাসে আগুন দেয় হরতাল কারী রা পুড়ে মারা গেলে রাসেল মাহমুদ। রেখে গেলেন ১০ দিনের সন্তান। যে সন্তান কোনদিন কাউকে বাবা বলে ডাকতে পারবে নয়া...

কিছুদিন আগে আমার এলাকায় পকেটারদের ধাওয়া খেয়ে উল্টে যায় একটি সিএনজি অটোরিকশা। সেটাতে ছিলেন এক গর্ভধারিণী মা... যিনি অপেক্ষা করছিলেন অনাগত সন্তানের অপেক্ষায়... আর এখন তিনি অপেক্ষা করছে একটি মৃত সন্তানের জন্য... কারণ তিনি ব্যাপক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত... সাথে যারা ছিল কারও ভেঙ্গেছে হাত কারও ভেঙ্গেছে পা...

এইতো সেদিন হরতালে গাড়িতে আগুনে দগ্ধ হলে সাবেক ছাত্র নেতা এবং বর্তমানে কর্মরত ডাক্তার... যাদের অবস্থা আসঙ্কা জনক...

গত একমাসে সহসতায় মারা গেল শতাধিক মানুষ। অনেকেই হয়তো কোন রাজনেতিক দলের সঙ্গেই ছিল নয়া শুদুই জীবন বাঁচাতে গিয়ে মারা গেছেন...

এখন আসল কথায় আসি এই যে নিরিহ মানুষ গুলো আহত হল কিংবা জীবন থেকে ছুটি নিল। তাদের কি দোষ ছিল... তাদের দোষ একটাই তারা হরতালে পথে বেড়িয়েছিল... তাদের দোষ একটাই তারা দেশের প্রতি ভালোবাসা ছিল নয়া..... তারা দেশদ্রোহী ছিল তারা ধর্ম বিরোধী ছিল এটাই তাদের দোষ... এছাড়া আমি আর কোন কারণ খুজে পাচ্ছি না...

আমার ভাষা অনেক আগেই হারিয়ে গেছে। আমিও আজ রাস্তায় বের হব ট্রেনে উঠব বাসে উঠব... আমারও তো হতে পারে একি পরিনতি। তবে কি আমিও দেশদ্রোহী আমিও ধর্মদ্রোহী...

আমাদের এক নেত্রী বললেন দেশ রক্ষা করতে হবে... সে জন্যই হরতাল দেয়া হচ্ছে... কিছু মানুষ মারা যাবে ক্ষয় ক্ষতি হবে সেটা মেনে নিতে হবে... সেটা মেনে নিতে হবে দেশের জন্য... দেশের মানুষের জন্য...
সরি ম্যাডাম আমি এমন দেশপ্রেমিক হতে পারব না... যে দেশ প্রেমিক দেশের মানুষের ক্ষতি চায় সে দেশ প্রেমিক আমি হতে চাই না...

অন্যদিকে ইসলাম রক্ষার দোহাই দিয়ে মাঠে আছে আরেকটি দল... তারা তাদের নেতাদের বাচানোর জন্য মানুষ কে শহীদ হতে উতসাহিত করছে জালিয়ে দিচ্ছে যানবাহন নষ্ট করছে সম্পদ... ইসলামের কোথাও অন্যের সম্পদ ধ্বংসের অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি... সুতরাং তারা ইসলাম নয়... তারা ইসলামের শত্রু।

অনেকেই হয়তো আমার সাথে তর্ক করবেন এসব নিয়ে তাদের বলব। আমাকে একটা হাদিস দেখান যেখানে অন্যের সম্পদ ধ্বংসের অনুমতি দেয়া হইছে...  আমাকে দেখান কোথায় আছে যে মুসলিম রা শত্রু দের আগে হামলা করেছে... কোথায় আছে যে নিরিহ মানুসদের রাজনৈতিক বলি বানাতে হবে...

এই যদি হয় দেশ প্রেম আর ধর্ম পালন তবে আপনাদের এই দেশে দরকার নাই... ইসলাম শান্তির ধর্ম আমাদের সেই শান্তি নিয়ে বাঁচতে দেন... আমরা শান্তি চাই শান্তি