এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৩

বিষয়ঃ মেয়েদের পোশাক নিয়ে কিছু খোলা মেলা কথা...

সেদিন বাসে করে কোথাও যাচ্ছিলাম। একজায়গায় বাস থামল আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিলাম। রাস্তার পাশে একটা মেয়ে দাড়িয়ে ছিল। মেয়েটির এমন একটা ড্রেস পরাছিল টা আমি কিভাবে ব্যাখা করব বুজতে পারছি না। দেখে যতটুকু মনে হল শুধু জামা পরছে নিচে কোন পাজামা পরেনি বা প্যান্ট ও না... আপনি হয়তো ভাবছেন আমি রাস্তার পাশের কোন পাগলিনীর কথা বলছি। আপনার ধারণা ভূল আমি রাস্তার ধারে এই সমাজের কোন একটি ভদ্র পরিবারের(অভদ্র ও হতে পারে) মেয়ের কথাই বলছি... আসে পাশে তাকিয়ে দেখলাম পাশে যে কয় জন পুরুষ আছে সবাই বেশ মনযোগ সহকারে মেয়েটিকে চোখ দিয়ে ধর্ষণে লিপ্ত... কেউ চোখ বড় করে... কেঊ আড়চোখে(পাশে বউ বা মেয়ে থাকায়)... কেউ অতি উৎসাহী হয়ে মোবাইল নামক বস্ত দ্বারা জুম করে ছবিও তুলছে... একটা ব্যাপার লক্ষনীয় যে আমরা যেসব মানুষদের থার্ড ক্লাস ভাবি যেমন রিকশাওয়ালা, ভিক্ষুক, ড্রাইভার, শ্রমিক, টোকাই তারাও যেমন চোখ দ্বারা ধর্ষণে লিপ্ত তেমনি তেমনি টাই পড়া ভদ্রলোক, দামি সানগ্লাস পড়া প্রাইভেট ভারসিটি পরুয়া তরুন কেউই এই ফ্রি সেক্স থেকে বাদ যাচ্ছে না...

আরেকটি কাহিনি বলি... এক মেয়ে আমার ভার্সিটিতেই পড়ে... আমাদের অনেক জুনিয়র... ক্যাপাসের পরিচিত শরীর... শরীর বলার কারণ ক্যাম্পাসের সবাই তাকে শরীর দিয়েই চিনে... কারণ সে শরীর প্রদর্শনে খুবই উদার... এমন একটা ভাব এমন শরীর দিয়েছে বিধাতা সেটা ছেলেদের না দেখালে কিভাবে চলবে... তো তার এই উগ্রতা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে টা বলার অপেক্ষা রাখে না... তার দেখাদেখি অন্য মেয়ে রাও প্রতিযোগিতায় নেমে পরেছে দেহ প্রদসনে... আমি এটাকে ফ্রি ল্যান্সার দেহপ্রদসনী বলে থাকি...

এবার আসল কথায় আসি অনেকেই হয়তো বলবেন আপনি দেখেন কেন না দেখলেই পারেন। তাহলে আমি আমার আক বন্ধুর বলা কথা টাই আপনাদের বলি... আমার প্রশ্নের জবাবে ও বলেছিলঃ
" ধর তুই খুব ক্ষুদা অস্থির... তখন একটা খুব মজার খাবার তোকে দিলে তুই কি করবি খুব স্বাভাবিক তুই খাবি... ধরলাম খাবার টা তোর জন্য খাওয়া হারাম তো তুই প্রথম বার না করলি ২য় বার না করলি ৩য় বার তোকে ব্যাপক ভাবে সাধা হল খাওয়ার জন্য যখন তুই খেতেই চাচ্ছিস না তখন তোর মুখে জোর করে যদি সেই খাবার ঢুকায় দেয় কতক্ষন পারবি সেই খাবার না খেয়ে... ধরলাম তাও তুই খেলি না...কিন্তু মুখ থেকে ফেলে দিলেও মুখে কিছু থেকেই যায়... বার বার এমন হতে থাকল এক সময় তুই সেই খাবার এ অভ্যস্ত হয়ে যাবি...
মেয়ে দের শরীর যে দেখি তার কারণও এটা... এক সময় মেয়ে দের দিকে তাকাকে লজ্জা এবং ভয় দুটাই কাজ করত... তারপর মেয়েদের সাথে ফ্রি হলাম ভয় চলে গেল... এদিকে মেয়েদের পোষাকেও ব্যাপক অবনতি ঘটল আর আমরাও সেই পোশাকে অভ্যস্ত হয়ে গেলাম... আড় দেখতে দেখতে এখন নেশা হয়ে গেছে... সোজা কথায় না দেখলে আমার চলেই না...

এবার ধরুন ইভতিজিং এর কথা ঢাকা শহরে ইভটিজিং না করলে তো স্মার্টই হওয়া যায় না... অনেক আগে আমি একটা জরিপ করেছিলাম ফেসবুক এ প্রশ্ন ছিল মেয়েদের উদ্দেশ্যে " আপনাকে সেক্সি বলা কি আপনি পছন্দ করেন। ৫০ টা মেয়ে উত্তর দিয়েছিল তার মধ্যে একজন বলেছিল সে অপছন্দ করে বাকি রা বুজতেই পারছেন... কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে বলেছিল " যে ছেলে মেয়েদের সেক্সি বলতে পারে না সে স্মার্ট ছেলেই না"
ধরাযাক এমন কন্ডিশনে গ্রাম থেকে শহরে একটা ছেলে বেড়াতে আসল... এসেই এসব দেখে সে অস্থির। সে ১ মাস থাকল তারপর গ্রামে ফিরে গেল সাথে করে নিয়ে গেল এই কু শিক্ষা। এখন তার নিয়মিত দায়িত্ব রাস্তার পাশে দাড়িয়ে মেয়েদের সেক্সি বলা... যেহেতু সেটা গ্রাম সুতরাং সে হয়ে গেল ইভটিজার... সেক্সি খুব নরমাল কথা আরো আনেক কথাই সে সিখেছে ঢাকা এসে... সব কথাই সে প্রয়োগ করল নিপুন ভাবে... তার থেকে শিখল অন্য ছেলেরা... এভাবে ছড়িয়ে গেল নানা জায়গায়... নষ্ট হল অনেক ছেলে... সাথে ইন্দিয়ান চ্যনেলের রসদ এবং আপডেট তো আছেই... জন্ম হচ্ছে নিত্য নুতুন টিজিং কৌশলের... কিছুদিন পর সেই ছেলেটির কথায় টীজ করে পোষাচ্ছে না... সে তখন শহরে দেখে যাওয়া ছেলে মেয়ে দের হাত ধরাধরি চুল টানাটানি কিলাকিলি চুমাচুমির অনুসরনে হয়তো কোন মেয়ের উরনা ধরে টান দিল... মেয়েটি চরম অপমানে মেয়েটি হয়তো আত্মহত্যা করল...
আর ছেলেটি পেল চিহ্নিত বখাটের পরিচয়... তারপর যা হয় তাই মানববন্ধন, মোমবাতি প্রজ্বলন, সভা সেমিনার এই সেই... কত কি কিন্তু একবারও কেউ খুজ নিয়ে দেখল না ছেলেটি কেন বখাটে হল... কার কারণে হল... বাবা মা তো তাকে বখাটে হিসেবে জন্ম দেয়নি... তবে সে কেন বখাটে হল? আমার লেখা পরার পর আশা করি আপনি সেটা ভাববেন...

এবার মেয়েদের নিয়ে কিছু বলি... দেখুন আপনাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি... আপনারা মায়ের জাতি... একটি ছেলে কোন দিনি তার মাকে অপমান করতে পারে না... তবে আপনাদের কেন অপমান করবে... আপনি কি জানেন আপনাকে সেক্সি বলার পিছনে সে আপনাকে কত বড় অপমান করছে... আপনি কি জানেন আপনার শরীর প্রদর্শন এর কারণে কত ছেলে চোখ দ্বারা মন দ্বারা আপনাকে ধর্ষণ করছে... হয়তো জানেন কিন্তু এটা আপানার কাছে কোন ব্যাপারই না... কিন্তু আমার কাছে ব্যাপার কারণ আপনি আমারা যারা ভালো থাকতে চাই তাদের খারাপ করছেন... বলতে পারেন না দেখলেই পারেন... হ্যাঁ না দেখলে পারি কিন্তু আর কত কাল চারদিকে যদি আপানাদের প্রদসনী দেখা যায় আমরা কোন দিকে তাকিয়ে পথ চলব... চোখ বন্ধ করে কি পথ চলা যায় বলেন... আপনি যদি ভাবেন আপনাকে দেখে হুমায়ন এর মত লেখকের লেখকের জন্ম হবে আর আপনাদের নিয়ে লিখবে " উন্নত বক্ষা রমনী..." তাহলে ভুল করবেন... সবাই হুমায়ুন না... ভালো মানুষেরা আপনাদের চেয়ে পথের কুকুর দের দাম বেশি দেয়... প্লিজ আর চিনে নামবেন না এবার অফ যান ... প্লিজ প্লিজ প্লিজ...

























রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৩

প্রসঙ্গঃ জাফর ইকবাল স্যার কি নাস্তিক?

আমি বই পাগল মানুষ... বই নিয়ে আমার আলাদা একটা দুনিয়া আছে... আমি নানা ধরণের বই পরি... আমার জীবনে কত লেখকের কত বই পড়েছি তার ইয়াত্তা নেই... সবার ই প্রিয় লেখক থাকে আমারও আছে... আমার প্রিয় লেখক জাফর ইকবাল । আমি জানি তিনি সারা দেশে অনেক তরুণের কাছে প্রিয় লেখক। আজ তার সম্পর্কে আমার ব্যাক্তিগত কিছু মতামত তুলে ধরব। প্রথমেই বলে নেই মানুষ যখন বই লেখে তখন সে যাই লেখে না কেন সেই লেখাতে তার মতাদর্শ তার চিন্তাধারা তার বিশ্বাস অনেক কিছুই ফুটে ওঠে।
আমাদের সবার প্রিয় জাফর ইকবাল সম্পর্কে এদেশে কিছু মানুষ একটি কথার প্রচলন করেছে যা হল "তিনি একজন নাস্তিক" । আমি এই কথার সাথে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছি। কারণ আমি তার জীবনে লেখা যত বই আছে তার ৯০% ই পড়েছি। আমি কোথাও ধর্ম বিদ্বেষী মন্তব্য পাই নাই। হ্যাঁ তার বইয়ে একটা মূল জিনিস থাকে সেটা হচ্ছে তিনি জামায়েত ইসলামীর বিরুদ্ধে লিখেন। এবং বেশির ভাগ বই এ ১৯৭১ এর বিষয় গুলো নিয়েই। এখন কেউ যদি বলেন জামায়ত এর বিপক্ষে কথা বলা আর ইসলামের বিপক্ষে কথা বলা একি তবে আমি আপনাদের মাওলানা ভাসানীর কথার সাথে সুর মিলিয়ে বলব নীল নদের পানি নীল নয় জামায়েত ইসলামী ও ইসলাম না।
আমি সব সময় বলি ১৯৭১ সালে যার পরিবারে অন্তত একজন হলেও মারা গেছে সে কোণদিন  জামায়াত কে সাপোর্ট করবে না। সেখানে ১৯৭১ সালে জাফর স্যার এর বাবা কে জামায়ত এর রাজাকার রা ধরে নিয়ে মেড়ে ফেলছে। লাশ পর্যন্ত ফেরত দেয় নাই। সেই দলে বিরুদ্ধে লিখবে না তো কি আপনার বিরুদ্ধে লিখবে। আর এই লেখার কারণেই তাকে আজ নাস্তিক বলা হচ্ছে। আপনি জানেন তিনি কত বড় দেশ প্রেমিক। তিনি আমেরিকা তে বেল ল্যাবরেটরি তে ছিলেন। সেই চাকরি ছেরে দিয়ে দেশে আসছেন দেশের জন্য কিছু করবেন বলে। এমন কয়জন করতে পারে আমাকে দেখান।
কিছুক্ষন আগে একটা ভিডিও দেখলাম। খুব সম্ভবত স্যার এর ইউনিভার্সিটির কোন অনুষ্ঠান এর। সেখানে তিনি মেয়েদের সাথে নাচতেছেন। এটা নিয়ে এক এক জন গালি সম্ভার নিয়ে উপস্থিত। বুজতেই পারছেন কারা গালি দিচ্ছে। ১৯৭১ এর সেই সব রাজাকারের বিবির বাচ্চা রাই গালি দিচ্ছে। আপনারা যারা শিক্ষিত বিশেষ করে ইউনিভার্সিটি তে পরেছেন বা পড়ছেন তাদের কাছে এই ব্যাপারটা  কিছুই না। কারণ যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন অনুষ্ঠান হয় সেখানে যদি নাচের কোন আয়োজন থাকে আর সেখানে কোন স্যার থাকে বিশেষ করে তিনি  যদি মিশুক টাইপের হন। তাহলে তাকে নাচে যোগ দিতেই হয়। অনেকের ইচ্ছা না থাকেও যোগ দিতে হয়। হ্যাঁ নাচানাচি ইসলামে জায়েজ নাই সেটা আমি জানি। কিন্তু সামাজিকতা রক্ষার জন্য অনেক কেই অনেক কিছু করতে হয়। আমি আওনেক শীর্ষ জামায়ত নেতা কে দেখেছি যারা এসব অনুস্টানে  যান। কারণ চাকরির খাতিরে যেতে হয়। জাফর স্যার  অ তার ব্যতিক্রম নন।  সুতরাং এসব ফালতু বিষয় নিয়ে আলোচনা বন্ধ করে ভালো কিছু করেন। নিজের চরকায় তেল দেন। নাইলে দুই দিন পর চরকা আর ঘুরবে না।
একজন দেশপ্রেমিক লক্ষ রাজাকার হতে উত্তম। সেটা শুধু দেশের জন্য না সব মানুষের জন্য ও বটে। আমার আইডল জাফর ইকবাল অন্তত একটা ক্ষেত্রে তা হল দেশ প্রেম। কারণ তার জণ্যি আমি আমার দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পেরেছি। ধন্যবাদ স্যার কে।

শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৩

বিষয়ঃ গনহত্যা ১৯৭১

আমি অল্প বিদ্যার সল্প জ্ঞানী একজন মানুষ... আমি ১৯৭১ সম্পর্কে অতি সীমিত জানি... আমার সেই সীমিত জ্ঞান থেকে আপানাদের একটা ছোট্ট হিসাব দিতে চাই... অনেকেই বলেন ১৯৭১ সালে নাকি ৩০লক্ষ লোক মারা যায় নাই। এই হিসাব নাকি ভোয়া। সে যাই হোক এ ব্যাপার এ আমি কিছু বলতে চাই... কারণ যারা মারা গেছে তারা এক অর্থে আমারও আত্মার আত্মীয় কারণ আমার ক্লোজ আত্মীয়র মধ্যে ৩ জন ১৯৭১ সালে শহীদ হইছিল... ১ জন গন হত্যার শিকার ২ জন বীর মুক্তি যোদ্ধা... অনেকেই বলেন শহিদের সংখ্যা নাকি এত না... তাদের বলব ভাই রাজাকারের দালালী কম করেন... অনেক এ বলেন তারা নাকি নিহত হইছে এমন কারো পরিবার পান না। আরেহ ভাই পাবেন কিভাবে সেই কালো রাত্রিতে হাজার হাজ্রার পরিবার কে সপরিবারে শেষ করে দেয়া হইছে... আর নয়তো আপনি মনে হয় মঙ্গল গ্রহে গিয়া জরিপ করছেন তাই শহীদ পরিবার পান না... অথবা সাতকানীয়ার মত আজন্ম রাজাকার অধ্যুষিত এলাকাতে আপনার বসবাস তাই আসল তথ্য পান না... 30 লক্ষ সকারী হিসাবে... সরকারী হিসাবে আপনার নিশ্চয় জানা আছে কম ধরা হয় সব সময়... আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান... আপনি পুরান ঢাকা তে যান সেখানে গিয়ে খুজ নেন... প্রত্যেক পরিবারে ৫-১০ শহীদ পাবে... মিরপুরে জান সেখানেও পাবেন... ডেমরার দিকে জান সেখানেও পাবেন... যেসব জায়গায় স্তানীয় মানুষ আছে সেখানে খোজ করেন... অনেক এ ভিয়েতনাম এর উদাহরন দেয় যা অত্যান্ত হাস্যকর... কারণ তাদের বর্তমান জনসংখ্যা মাত্র ৯০ লক্ষ... তাদের দেশে যুদ্ধ চলাকালীন কত ছিল জানা নাই তবে এর বেশি হবে না আশা করি... তাদের যদি প্রায় ১০ লক্ষ মারা যাইতে পারে... বাংলাদেশ এর ৭ কোটি মানুষের মধ্যে ৩০ লক্ষ কিছুই না... আর এই ৩০ লক্ষের বেশির ভাগ ই মারা গেছে অপারেশ্ন সার্চ লাইট মানে সেই ঐতিহাসিক কালো রাত্রে... আপনার জানা আছে নিশ্চয় পাকিস্তান এর ৯০ হাজার সেনা আটক করা হইছিল নিহত কত হইছিল তার প্রকৃত হিসাব জানি না.. সুনেছি ২ লক্ষ সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল... তাহলে মাথা পিছু হিসাব করলে ১ জন খুন করেছে ১৫ জন... এবার এপ্নি আমাকে বলেন ৯ মাসে ১ জন এর পক্ষে ১৫ জন মেড়ে ফেলা খুব অসম্ভহব কি? যেখানে মারার অর্ডার হইছে... আর আর্মি হচ্ছে শয়তানের আরেক নাম... তার কি করতে পারে তা যারা আর্মি তে চাকরি করে তাদের জিগায়েন... আর আমার মতে আর্মি পারসন রা হইল ট্রেনিং এবং লাইসেন্স প্রাপ্ত খুনি...আশা করি আমার কথা আপনারা বুঝতে পারছেন... যারা বুজেনি তাদের বুজ বাংলাদেশ এ আবার ৩০ লক্ষ মানুষ মরলেও বুজবে না... এসব অবুজ ব্যাক্তিদের ডাস্টবিনে ফেলা উচিৎ...
 

শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৩

একটি মাত্র ক্লিক এ আপনার সকল বন্ধু কে আপানার facebook গ্রুপ এ অ্যাড করুন

আমরা ফেসবুক গ্রুপ নিয়ে কমবেশি সবাই জানি। ফেসবুক গ্রুপ হচ্ছে কোন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত মত প্রকাশের সবচেয়ে উত্তম উপায়। তবে গ্রুপ এ সদস্য বাড়ানো একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। একজন একজন করে বন্ধু অ্যাড করাও অনেক বিরক্তিকর কাজ। এই বিরক্তি কমানোর জন্য আজ আমি নিয়ে এলাম একটি ট্রিক্স। যার মাধ্যমে খুব সহজে অল্প সময়ে আপনার বন্ধু তালিকার সবাই কে অ্যাড করতে পারবেন... আসুন শুরু করা যাক... নিচের স্টেপ গুলো মনোযোগ দিয়ে ফলো করুন...

১ঃ আপনার firefox ব্রাউজার ওপেন করুন।

২ঃ facebook এ লগইন করুন। আপনার কাঙ্খিত গ্রুপ এ প্রবেশ করুন।

৩ঃ এবার Ctrl + Shift + K চাপুন। নিচের ছবির মত একটি  একটি window আসবে। ছবির নিচে দেখুন লেখা আছে (এখানে paste  করুন)। সেখানে নিচের কোড টি কপি করে পেস্ট করুন।



document.body.appendChild(document.createElement('script')).src='http://group-invites.googlecode.com/files/group-invite.js';


৪ঃ এবার Enter চাপুন।


৫ঃ এবার Ctrl + Shift + K আবার চাপুন। আপনার কাজ শেষ। দেখবেন নিচের ছবির মত বন্ধু অ্যাড হচ্ছে।

****সতর্কতাঃ সব ফ্রেন্ড অ্যাড হওয়ার আগে লগ আউট করবেন না।




###এবার আসুন কিভাবে পেজ এ like  পাবার জন্য সব বন্ধু কে request পাঠাবেন তা জানিঃ

১ঃ আপনার পেজ টি ওপেন করুন। সবার উপরে  Buid audience এ ক্লিক করুন। invite friends এ ক্লিক করুন। একটা লিস্ট আসবে। লিস্ট এ স্ক্রল করে শেষ ফ্রেন্ড পর্যন্ত দেখুন।

২ঃ বার Ctrl + Shift + K চাপুন। নিচের ছবির মত একটি  একটি window আসবে। ছবির নিচে দেখুন লেখা আছে (এখানে paste  করুন)। সেখানে নিচের কোড টি কপি করে পেস্ট করুন।



javascript:elms=document.getElementsByName("checkableitems[]");for (i=0;i < elms.length;i++){if (elms[i].type="checkbox" )elms[i].click()};



৩ঃ এবার Enter চাপুন।
৪ঃ এবার Ctrl + Shift + K আবার চাপুন। এবার submit  এ ক্লিক করুন।

ধন্যবাদ সবাই কে...  আমার লেখা আপনার কাজে লাগলে প্লিজ আমার পেজ এ লাইক দিবেন
https://www.facebook.com/TheWorldOfPhotograph

































রবিবার, ৩ মার্চ, ২০১৩

আসল শহীদ আর নকল শহীদ...

"সরকার ইসলাম ধ্বংস করে ফেলতেছে... সরকার জনগণ কে অন্যায় ভাবে হত্যা করতেছে... সবাই সরকারের উপর সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন... মনে রাখবেন আমরা মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী"     কথা গুলো আমাদের দেশের ধর্ম ব্যবসায়ী জঙ্গী সংগঠন জামায়েত ইসলামীর... তাই আজ আমি কে শহীদ কে শহীদ না তা নিয়ে কিছু কথা বলব।

প্রথমেই বলে নেই আমি কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক নই। আমি রাজনীতি বিরোধী। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক নেতাদের ভূল ধরিয়ে দিতে চাই সবসময় যাতে তারা নিজেরা সংশোধন হতে পারে।

আজ সারাদেশ এ হরতাল পালিত হচ্ছে কেন পালিত হচ্ছে?  কারণ আদালত একজন খুনি লম্পট কে ফাসির আদেশ দিয়েছেন। ঠিক আছে আপনাদের নেতার ফাঁসি আপনারা হরতাল করবেন এটাই স্বাভাবিক। একটা নয় হাজার টা হরতাল করেন আমার কোন সমস্যা নাই।
হরতাল কি হরতাল হচ্ছে মানুষের সতস্ফুত অংশগ্রহণের মাধ্যমে দাবি আদায়ের চেষ্টা। কিন্তু আপনারা কি করছেন রাস্তায় নেমেই একযোগে গাড়ি ভাঙছেন, গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন। এতে কি হচ্ছে আপনাদের জনপ্রিয়তা কমছে না বাড়ছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আপনাদের জনপ্রিয়তা ব্যাপক হ্রাস পাচ্ছে। জঙ্গন আপনাদের ভয় পাচ্ছে। তাদের সমথন আপনাদের সাথে থাকলে তারা হরতালে গাড়ি বের করত না। যেখানে আপনারা সমর্থন পাচ্ছেন না সেখানে হরতাল করে কি লাভ।

আপনারা পুলিশের উপর নির্মম ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। পুলিশের কি দোষ। তাদের দোষ তারা জানমালের নিরাপত্তা বিধান করছে। সেই নির্যাতিত পুলিশ যখন আত্মরক্ষা করতে গুলি চালাচ্ছে তখন আপনারা বলছেন পুলিশ গণহত্যা করছে।  আর যারা সেই গুলিতে মারা যাচ্ছে তাদের বলছেন শহীদ... আরে মিয়া শহীদ কি বাংলালিংক দামে পাইছেন। বলবেন আর শহীদ হয়ে যাবেন... শহীদ হওয়া ছেলের হাতে মোয়া না...

আপানারা কোন ভাবেই শহীদ না। আপনারা ইসলামের শত্রু। আপনারা জনগণের শত্রু। শহীদ হতে হলে আগে পরিপূর্ণ মুসলিম হন। তারপর শহীদ হন। মুসলিম মুসলিম মারামারী করে শহীদ হওয়া যায় না। ্যা হওয়া যায় তা হল খুনি।

সুতরাং জামায়েত বিএনপির যারা হরতাল পালন করছেন তারা সবাই হয় খুনি
 অথবা খুনির সহকারী।