এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৩

বিষয়ঃ মেয়েদের পোশাক নিয়ে কিছু খোলা মেলা কথা...

সেদিন বাসে করে কোথাও যাচ্ছিলাম। একজায়গায় বাস থামল আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিলাম। রাস্তার পাশে একটা মেয়ে দাড়িয়ে ছিল। মেয়েটির এমন একটা ড্রেস পরাছিল টা আমি কিভাবে ব্যাখা করব বুজতে পারছি না। দেখে যতটুকু মনে হল শুধু জামা পরছে নিচে কোন পাজামা পরেনি বা প্যান্ট ও না... আপনি হয়তো ভাবছেন আমি রাস্তার পাশের কোন পাগলিনীর কথা বলছি। আপনার ধারণা ভূল আমি রাস্তার ধারে এই সমাজের কোন একটি ভদ্র পরিবারের(অভদ্র ও হতে পারে) মেয়ের কথাই বলছি... আসে পাশে তাকিয়ে দেখলাম পাশে যে কয় জন পুরুষ আছে সবাই বেশ মনযোগ সহকারে মেয়েটিকে চোখ দিয়ে ধর্ষণে লিপ্ত... কেউ চোখ বড় করে... কেঊ আড়চোখে(পাশে বউ বা মেয়ে থাকায়)... কেউ অতি উৎসাহী হয়ে মোবাইল নামক বস্ত দ্বারা জুম করে ছবিও তুলছে... একটা ব্যাপার লক্ষনীয় যে আমরা যেসব মানুষদের থার্ড ক্লাস ভাবি যেমন রিকশাওয়ালা, ভিক্ষুক, ড্রাইভার, শ্রমিক, টোকাই তারাও যেমন চোখ দ্বারা ধর্ষণে লিপ্ত তেমনি তেমনি টাই পড়া ভদ্রলোক, দামি সানগ্লাস পড়া প্রাইভেট ভারসিটি পরুয়া তরুন কেউই এই ফ্রি সেক্স থেকে বাদ যাচ্ছে না...

আরেকটি কাহিনি বলি... এক মেয়ে আমার ভার্সিটিতেই পড়ে... আমাদের অনেক জুনিয়র... ক্যাপাসের পরিচিত শরীর... শরীর বলার কারণ ক্যাম্পাসের সবাই তাকে শরীর দিয়েই চিনে... কারণ সে শরীর প্রদর্শনে খুবই উদার... এমন একটা ভাব এমন শরীর দিয়েছে বিধাতা সেটা ছেলেদের না দেখালে কিভাবে চলবে... তো তার এই উগ্রতা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে টা বলার অপেক্ষা রাখে না... তার দেখাদেখি অন্য মেয়ে রাও প্রতিযোগিতায় নেমে পরেছে দেহ প্রদসনে... আমি এটাকে ফ্রি ল্যান্সার দেহপ্রদসনী বলে থাকি...

এবার আসল কথায় আসি অনেকেই হয়তো বলবেন আপনি দেখেন কেন না দেখলেই পারেন। তাহলে আমি আমার আক বন্ধুর বলা কথা টাই আপনাদের বলি... আমার প্রশ্নের জবাবে ও বলেছিলঃ
" ধর তুই খুব ক্ষুদা অস্থির... তখন একটা খুব মজার খাবার তোকে দিলে তুই কি করবি খুব স্বাভাবিক তুই খাবি... ধরলাম খাবার টা তোর জন্য খাওয়া হারাম তো তুই প্রথম বার না করলি ২য় বার না করলি ৩য় বার তোকে ব্যাপক ভাবে সাধা হল খাওয়ার জন্য যখন তুই খেতেই চাচ্ছিস না তখন তোর মুখে জোর করে যদি সেই খাবার ঢুকায় দেয় কতক্ষন পারবি সেই খাবার না খেয়ে... ধরলাম তাও তুই খেলি না...কিন্তু মুখ থেকে ফেলে দিলেও মুখে কিছু থেকেই যায়... বার বার এমন হতে থাকল এক সময় তুই সেই খাবার এ অভ্যস্ত হয়ে যাবি...
মেয়ে দের শরীর যে দেখি তার কারণও এটা... এক সময় মেয়ে দের দিকে তাকাকে লজ্জা এবং ভয় দুটাই কাজ করত... তারপর মেয়েদের সাথে ফ্রি হলাম ভয় চলে গেল... এদিকে মেয়েদের পোষাকেও ব্যাপক অবনতি ঘটল আর আমরাও সেই পোশাকে অভ্যস্ত হয়ে গেলাম... আড় দেখতে দেখতে এখন নেশা হয়ে গেছে... সোজা কথায় না দেখলে আমার চলেই না...

এবার ধরুন ইভতিজিং এর কথা ঢাকা শহরে ইভটিজিং না করলে তো স্মার্টই হওয়া যায় না... অনেক আগে আমি একটা জরিপ করেছিলাম ফেসবুক এ প্রশ্ন ছিল মেয়েদের উদ্দেশ্যে " আপনাকে সেক্সি বলা কি আপনি পছন্দ করেন। ৫০ টা মেয়ে উত্তর দিয়েছিল তার মধ্যে একজন বলেছিল সে অপছন্দ করে বাকি রা বুজতেই পারছেন... কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে বলেছিল " যে ছেলে মেয়েদের সেক্সি বলতে পারে না সে স্মার্ট ছেলেই না"
ধরাযাক এমন কন্ডিশনে গ্রাম থেকে শহরে একটা ছেলে বেড়াতে আসল... এসেই এসব দেখে সে অস্থির। সে ১ মাস থাকল তারপর গ্রামে ফিরে গেল সাথে করে নিয়ে গেল এই কু শিক্ষা। এখন তার নিয়মিত দায়িত্ব রাস্তার পাশে দাড়িয়ে মেয়েদের সেক্সি বলা... যেহেতু সেটা গ্রাম সুতরাং সে হয়ে গেল ইভটিজার... সেক্সি খুব নরমাল কথা আরো আনেক কথাই সে সিখেছে ঢাকা এসে... সব কথাই সে প্রয়োগ করল নিপুন ভাবে... তার থেকে শিখল অন্য ছেলেরা... এভাবে ছড়িয়ে গেল নানা জায়গায়... নষ্ট হল অনেক ছেলে... সাথে ইন্দিয়ান চ্যনেলের রসদ এবং আপডেট তো আছেই... জন্ম হচ্ছে নিত্য নুতুন টিজিং কৌশলের... কিছুদিন পর সেই ছেলেটির কথায় টীজ করে পোষাচ্ছে না... সে তখন শহরে দেখে যাওয়া ছেলে মেয়ে দের হাত ধরাধরি চুল টানাটানি কিলাকিলি চুমাচুমির অনুসরনে হয়তো কোন মেয়ের উরনা ধরে টান দিল... মেয়েটি চরম অপমানে মেয়েটি হয়তো আত্মহত্যা করল...
আর ছেলেটি পেল চিহ্নিত বখাটের পরিচয়... তারপর যা হয় তাই মানববন্ধন, মোমবাতি প্রজ্বলন, সভা সেমিনার এই সেই... কত কি কিন্তু একবারও কেউ খুজ নিয়ে দেখল না ছেলেটি কেন বখাটে হল... কার কারণে হল... বাবা মা তো তাকে বখাটে হিসেবে জন্ম দেয়নি... তবে সে কেন বখাটে হল? আমার লেখা পরার পর আশা করি আপনি সেটা ভাববেন...

এবার মেয়েদের নিয়ে কিছু বলি... দেখুন আপনাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি... আপনারা মায়ের জাতি... একটি ছেলে কোন দিনি তার মাকে অপমান করতে পারে না... তবে আপনাদের কেন অপমান করবে... আপনি কি জানেন আপনাকে সেক্সি বলার পিছনে সে আপনাকে কত বড় অপমান করছে... আপনি কি জানেন আপনার শরীর প্রদর্শন এর কারণে কত ছেলে চোখ দ্বারা মন দ্বারা আপনাকে ধর্ষণ করছে... হয়তো জানেন কিন্তু এটা আপানার কাছে কোন ব্যাপারই না... কিন্তু আমার কাছে ব্যাপার কারণ আপনি আমারা যারা ভালো থাকতে চাই তাদের খারাপ করছেন... বলতে পারেন না দেখলেই পারেন... হ্যাঁ না দেখলে পারি কিন্তু আর কত কাল চারদিকে যদি আপানাদের প্রদসনী দেখা যায় আমরা কোন দিকে তাকিয়ে পথ চলব... চোখ বন্ধ করে কি পথ চলা যায় বলেন... আপনি যদি ভাবেন আপনাকে দেখে হুমায়ন এর মত লেখকের লেখকের জন্ম হবে আর আপনাদের নিয়ে লিখবে " উন্নত বক্ষা রমনী..." তাহলে ভুল করবেন... সবাই হুমায়ুন না... ভালো মানুষেরা আপনাদের চেয়ে পথের কুকুর দের দাম বেশি দেয়... প্লিজ আর চিনে নামবেন না এবার অফ যান ... প্লিজ প্লিজ প্লিজ...

























কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন