এই ব্লগটি সন্ধান করুন

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৩

প্রসঙ্গঃ জাফর ইকবাল স্যার কি নাস্তিক?

আমি বই পাগল মানুষ... বই নিয়ে আমার আলাদা একটা দুনিয়া আছে... আমি নানা ধরণের বই পরি... আমার জীবনে কত লেখকের কত বই পড়েছি তার ইয়াত্তা নেই... সবার ই প্রিয় লেখক থাকে আমারও আছে... আমার প্রিয় লেখক জাফর ইকবাল । আমি জানি তিনি সারা দেশে অনেক তরুণের কাছে প্রিয় লেখক। আজ তার সম্পর্কে আমার ব্যাক্তিগত কিছু মতামত তুলে ধরব। প্রথমেই বলে নেই মানুষ যখন বই লেখে তখন সে যাই লেখে না কেন সেই লেখাতে তার মতাদর্শ তার চিন্তাধারা তার বিশ্বাস অনেক কিছুই ফুটে ওঠে।
আমাদের সবার প্রিয় জাফর ইকবাল সম্পর্কে এদেশে কিছু মানুষ একটি কথার প্রচলন করেছে যা হল "তিনি একজন নাস্তিক" । আমি এই কথার সাথে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছি। কারণ আমি তার জীবনে লেখা যত বই আছে তার ৯০% ই পড়েছি। আমি কোথাও ধর্ম বিদ্বেষী মন্তব্য পাই নাই। হ্যাঁ তার বইয়ে একটা মূল জিনিস থাকে সেটা হচ্ছে তিনি জামায়েত ইসলামীর বিরুদ্ধে লিখেন। এবং বেশির ভাগ বই এ ১৯৭১ এর বিষয় গুলো নিয়েই। এখন কেউ যদি বলেন জামায়ত এর বিপক্ষে কথা বলা আর ইসলামের বিপক্ষে কথা বলা একি তবে আমি আপনাদের মাওলানা ভাসানীর কথার সাথে সুর মিলিয়ে বলব নীল নদের পানি নীল নয় জামায়েত ইসলামী ও ইসলাম না।
আমি সব সময় বলি ১৯৭১ সালে যার পরিবারে অন্তত একজন হলেও মারা গেছে সে কোণদিন  জামায়াত কে সাপোর্ট করবে না। সেখানে ১৯৭১ সালে জাফর স্যার এর বাবা কে জামায়ত এর রাজাকার রা ধরে নিয়ে মেড়ে ফেলছে। লাশ পর্যন্ত ফেরত দেয় নাই। সেই দলে বিরুদ্ধে লিখবে না তো কি আপনার বিরুদ্ধে লিখবে। আর এই লেখার কারণেই তাকে আজ নাস্তিক বলা হচ্ছে। আপনি জানেন তিনি কত বড় দেশ প্রেমিক। তিনি আমেরিকা তে বেল ল্যাবরেটরি তে ছিলেন। সেই চাকরি ছেরে দিয়ে দেশে আসছেন দেশের জন্য কিছু করবেন বলে। এমন কয়জন করতে পারে আমাকে দেখান।
কিছুক্ষন আগে একটা ভিডিও দেখলাম। খুব সম্ভবত স্যার এর ইউনিভার্সিটির কোন অনুষ্ঠান এর। সেখানে তিনি মেয়েদের সাথে নাচতেছেন। এটা নিয়ে এক এক জন গালি সম্ভার নিয়ে উপস্থিত। বুজতেই পারছেন কারা গালি দিচ্ছে। ১৯৭১ এর সেই সব রাজাকারের বিবির বাচ্চা রাই গালি দিচ্ছে। আপনারা যারা শিক্ষিত বিশেষ করে ইউনিভার্সিটি তে পরেছেন বা পড়ছেন তাদের কাছে এই ব্যাপারটা  কিছুই না। কারণ যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন অনুষ্ঠান হয় সেখানে যদি নাচের কোন আয়োজন থাকে আর সেখানে কোন স্যার থাকে বিশেষ করে তিনি  যদি মিশুক টাইপের হন। তাহলে তাকে নাচে যোগ দিতেই হয়। অনেকের ইচ্ছা না থাকেও যোগ দিতে হয়। হ্যাঁ নাচানাচি ইসলামে জায়েজ নাই সেটা আমি জানি। কিন্তু সামাজিকতা রক্ষার জন্য অনেক কেই অনেক কিছু করতে হয়। আমি আওনেক শীর্ষ জামায়ত নেতা কে দেখেছি যারা এসব অনুস্টানে  যান। কারণ চাকরির খাতিরে যেতে হয়। জাফর স্যার  অ তার ব্যতিক্রম নন।  সুতরাং এসব ফালতু বিষয় নিয়ে আলোচনা বন্ধ করে ভালো কিছু করেন। নিজের চরকায় তেল দেন। নাইলে দুই দিন পর চরকা আর ঘুরবে না।
একজন দেশপ্রেমিক লক্ষ রাজাকার হতে উত্তম। সেটা শুধু দেশের জন্য না সব মানুষের জন্য ও বটে। আমার আইডল জাফর ইকবাল অন্তত একটা ক্ষেত্রে তা হল দেশ প্রেম। কারণ তার জণ্যি আমি আমার দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পেরেছি। ধন্যবাদ স্যার কে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন